সাগর পাড়ি দিয়ে ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে শতাধিক রোহিঙ্গা
<![CDATA[
ইন্দোনেশিয়ার উপকূল থেকে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১১০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্টগার্ড। বুধবার (১৬ নভেম্বর) আচেহ প্রদেশের উপকূলের কাছে একটি নৌকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। পরিচয় শনাক্তে তাদের স্থানীয় একটি আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবর আল আরাবিয়ার।
সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, এই রোহিঙ্গাদের মধ্যে রয়েছেন ৬৫ জন পুরুষ, ২৭ জন নারী ও ১৮ জন শিশু। মিউনাসা বারো গ্রামের সাগর তীরে স্থানীয় এক জেলে তাদের প্রথম দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। এরপর পুলিশ তাদের উদ্ধার করে গ্রামের কমিউনিটি হলে নিয়ে আসে।
উদ্ধারের পর জায়গার অভাবে গাদাগাদি করে আশ্রয়কেন্দ্রে শুয়ে থাকতে দেখা যায় রোহিঙ্গাদের।
ইন্দোনেশিয়ার কোস্টগার্ড প্রধান জানান, প্রায় এক মাস আগে মিয়ানমার থেকে সমুদ্রপথে যাত্রা শুরু করে তারা। এরই মধ্যে অনাহারে থেকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুস্থ হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গারা আশ্রয়কেন্দ্রেই থাকবেন। এরপর সরকারের নির্দেশনা অনুসারে ঠিক করা হবে তারা কোথায় যাবেন।
এই রোহিঙ্গা দলটির অন্যতম সদস্য মুহম্মদ আমিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাদের গন্তব্য ছিল মালয়েশিয়া। নৌকাটি মালয়েশিয়ায় নোঙ্গর করবে জেনেই এক সপ্তাহ আগে তারা রওনা হয়েছিলেন সেটিতে। মঙ্গলবার ভোররাতে যখন তাদেরকে মিউনাসা বারো গ্রামে নামিয়ে দেয়া হয়, সেসময়ও নৌকার চালক ও অন্যান্য লোকজন বলেছিল, তাদেরকে মালয়েশিয়ায় পৌছে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলন শুরু মঙ্গলবার
ইন্দোনেশিয়া জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশনে (১৯৫১) স্বাক্ষরকারী দেশ নয়। শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে তাদের দায় নেই। কিন্তু জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলছে, ২০১৬ সালের রাষ্ট্রপতির প্রবিধান অনুযায়ী, দুর্দশাগ্রস্ত শরণার্থীদের চিকিৎসা ও সেবা দেয়ার বিধান রয়েছে।
২০১৭ সাল থেকেই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হাতে দমন পীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ আশ্রয় নিয়েছে রোহিঙ্গারা। সাম্প্রতিক সময় হঠাৎ করেই অবৈধভাবে সমুদ্রপথে রোহিঙ্গাদের ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। গত মার্চেও একইভাবে ১১৪ রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ২৪০ যাত্রীবাহী নৌযানে আগুন, মৃত্যু ১৪
বর্তমানে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের শরণার্থীরা ক্যাম্প থেকে উন্নত জীবনের আশায় সাগর পাড়ি দিয়ে অন্য মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সেক্ষেত্রে মালয়েশিয়া তাদের পছন্দের জায়গা। সেখানে অবৈধভাবে গিয়ে অনেককে বন্দিও হতে হয়েছে।
]]>