বিনোদন

সাপের কামড়ে রোগীকে আর যেতে হবে না কবিরাজের কাছে

<![CDATA[

একসময় সাপের কামড়ের জন্য কবিরাজের কাছে ছুটত মানুষ। ঝাড়-ফুঁক কবিরাজি চিকিৎসার ওপর ছিল নির্ভরশীল। চিকিৎসার আধুনিকতায় সে দিন বদলাচ্ছে। কুমিল্লার সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন মিলছে সাপে কাটার অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন।

কুমিল্লা জেলার সব কটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন রয়েছে। জেলার অধীন ১৭টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে সার্বক্ষণিক এ ইনজেকশন সরবরাহ করা হয়েছে।

তবে অনেক উপজেলায় অ্যান্টিভেনমের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। কিছু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেনম থাকা সত্ত্বেও সচেতনতা কিংবা প্রচারণার অভাবে সেসব এলাকার মানুষ এখনও কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নিতে গিয়ে বিপদে পড়ছে বলেও বিভিন্ন সময় খবর পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন: সাপের কামড়ে শাশুড়ি-নববধূর মৃত্যু

জানা যায়, গত মে মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে সারা দেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন সরবরাহ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জানানো হয়, এখন থেকে সাপে কাটা রোগীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলেই দিতে পারবেন অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন।

কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন বলেন, ‘কুমিল্লার ১৭টি উপজেলার সব কটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন রয়েছে। তবে কিছু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যান্টিভেনমের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। আমরা সেগুলো ফেরত পাঠানোর কাজ করছি। তা ছাড়া আমাদের সদর হাসপাতালে সার্বক্ষণিক এ ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে।’

জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দেব দাস দেব বলেন, ‘কয়েক দিন আগে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধগুলো ফিরিয়ে দিয়ে নতুন করে এনেছি। আমাদের এখানে ২০ ভাওয়েল অ্যান্টিভেনম আছে। এতে দুজন রোগীর চিকিৎসা দেয়া যাবে।’

আরও পড়ুন: ঝামেলা এড়াতে সাপেকাটা ছাত্রলীগ নেতাকে রেফার্ড, পথেই মৃত্যু

দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ তৌহিদ আল হাসান বলেন, ‘আমাদের এখানে ২০ ভাওয়েল অ্যান্টিভেনম আছে। আমাদের উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সাপে কাটা রোগী আসে। তবে সেগুলো বিষধর সাপ নয়। তাই অ্যান্টিভেনম প্রয়োজন হয় না। দেখা যায়, বছর শেষে আবার সেগুলো ফেরত দিতে হয় মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেলে। তাই আমরা কম আনি।’

উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে ১৭৬ প্রজাতির সাপ রয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি প্রজাতি বিষধর। বিষধর ১২ প্রজাতির সাপের অবস্থান সাগরে। বাকিগুলো গহিন জঙ্গলে এবং লোকালয়ে বসবাস করে। বাংলাদেশে বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছর অন্তত ৫ লাখ ৮০ হাজার মানুষ সাপের দংশনের শিকার হন এবং অন্তত ৬ হাজার মানুষ মারা যান।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!