সিউলে হ্যালোইন পার্টিতে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধায় স্মরণসভা
<![CDATA[
দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে হ্যালোইন পার্টিতে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মরণসভার আয়োজন করেছে দেশটির প্রশাসন। এতে উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইওন-সুক-ইউল ও তার স্ত্রী ফার্স্টলেডি কিম কুন হি। এ সময় এক মিনিট নীরবতা পালনের পাশাপাশি ঘটনার দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দেন তারা।
দক্ষিণ কোরিয়ার হ্যালোইন পার্টিতে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সোমবার (৩১ অক্টোবর) সিউল প্লাজায় এক স্মরণসভার আয়োজন করে দেশটির সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইওন-সুক-ই্উল ও তার স্ত্রী ফার্স্ট লেডি কিম কুন হি। মৃতদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি এক মিনিট নীরবতা পালন করেন তারা।
প্রশাসনিক কর্মকর্তারা শ্রদ্ধা জানানো পর সর্বসাধারণের জন্য জায়গাটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। ‘হতভাগ্যদের’ শ্রদ্ধা জানাতে এসে এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকে। তারা বলেন, সবাই বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করতে গিয়েছিল। কিন্তু মুহূর্তেই তাদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়ে গেল।
হ্যালোইন পার্টিতে কর্তব্যরতদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অনেকে বলেন, একসঙ্গে এত মানুষের উপস্থিতি যুদ্ধের থেকে কোনো অংশে কম ছিল না। অনুষ্ঠানটির দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারা যদি মানুষজনের চলাচলের ওপর খেয়াল রাখতেন তাহলে এ দুর্ঘটনা ঘটত না।
আরও পড়ুন: উৎসব যেভাবে শোকে পরিণত হলো
সিউলের ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাকে ‘ট্র্যাজেডি’ হিসেবে আখ্য দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্তোনি আলবানিজ। এ দুর্ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার এক নাগরিক মারা যাওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সেই পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা যারা এই দুর্ঘটনায় তাদের স্বজন হারিয়েছেন। সিউলের মানুষের ওপর এর প্রভাব অত্যন্ত কঠিন। এমনকি আমাদের দেশের স্বজন হারানোদের জন্যও। আশা করছি, আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে ইথেওয়ান শহরের হ্যালোইন পার্টিতে জড়ো হন এক লাখেরও বেশি মানুষ। অনুষ্ঠানে এক তারকা উপস্থিত হয়েছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই শুরু হয় হুড়োহুড়ি। সরু রাস্তায় অতিরিক্ত ভিড়ে চাপা পড়েন বহু মানুষ। এতে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়।
]]>