‘সিটি ইকোনমিক জোন’ ঘুরে মুগ্ধ কানাডিয়ান হাইকমিশনার
<![CDATA[
সয়াবিন বীজ থেকে তেল ও সয়ামিল, চিনি থেকে চকলেট ও বিস্কুট- ভোগ্যপণ্য উৎপাদনের বড় হাবে পরিণত হয়েছে সিটি ইকোনমিক জোন। যেখানে অত্যাধুনিক যন্ত্র ও প্রযুক্তির মাধ্যমে কাঁচামাল সংগ্রহ, পণ্য উৎপাদন ও খালাস হচ্ছে হাতের স্পর্শ ছাড়াই। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সিটি ইকোনমিক জোন পরিদর্শন শেষে নিজের মুগ্ধতার কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার লিলি নিকোলাস।
কানাডিয়ান হাইকমিশনার বলেন, এখানে জাহাজ থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ, পণ্য উৎপাদন এবং উৎপাদিত পণ্য ট্রাকে খালাস করা- পুরো প্রক্রিয়াটি সত্যিই দেখার মতো। বিশেষ করে সিটি গ্রুপের আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্যের পুনঃব্যবহারের বিষয়টি ভালো লেগেছে।
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে দেশের ষষ্ঠ বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল সিটি ইকোনমিক জোনের যাত্রা শুরু ২০১৯ সালের এপ্রিলে। চার বছর না পেরোতেই ৭৮ একর জায়গায় গড়ে উঠেছে দেশ এমনকি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ভোগ্যপণ্য এবং পশুখাদ্য উৎপাদনকারী কারখানা। দৈনিক ৬ হাজার টন উৎপাদন সক্ষমতার ফ্লাওয়ার মিল রয়েছে সিটি ইকোনমিক জোনে, যা বিশ্বের সর্ববৃহৎ।
আরও পড়ুন: পর্যাপ্ত খাদ্য আমদানি-সরবরাহে প্রস্তুত সিটি গ্রুপ
এছাড়ও সিটি ইকোনমিক জোনে রয়েছে দৈনিক পাঁচ হাজার টন সয়াবিন বীজ ক্রাশিং ইউনিট। যেখানে মিলছে এক হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এবং চার হাজার টন সয়ামিল। দেশের চিনির চাহিদার বড় একটি অংশের যোগানও দিচ্ছে সিটি ইকোনমিক জোন।
শুধু তাই নয়, নেদারল্যান্ডসের মেশিনারিজ ও প্রযুক্তির সহায়তায় রুপসী ফিড মিলে দৈনিক তিন হাজার টন প্রাণী খাদ্য প্রস্তুত হচ্ছে। এসব শিল্পের পাশাপাশি সিটি ইকোনমিক জোনে গড়ে উঠেছে পানীয় ও কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প।
এ বিষয়ে সিটি গ্রুপের পরিচালক শম্পা রহমান বলেন, ‘কানাডিয়ান হাইকমিশনার লিলি নিকোলাস আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেছেন। আমাদের প্ল্যান্টের হাই টেকনোলোজি-ইফিসিয়েন্সি দেখে খুবই মুগ্ধ হয়েছেন। আমাদের এখানে কানাডিয়ানসহ অনেকের বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’
আট হাজার কোটি টাকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আর নারী-পুরুষ মিলিয়ে ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে সিটি ইকোনমিক জোনে।
]]>