খেলা

সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

<![CDATA[

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৭ রানে হারানোর পর মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগাররা জিতল ৩২ রানে। জয় পেলেও টাইগারদের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ নিয়ে গত ক’মাসে যে পরিমাণ প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে, সিরিজ শেষে সেগুলো রয়েই গেল! প্রশ্ন উঠতে পারে সিরিজ থেকে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব মেলাতে গেলেও।

টার্গেট ছুঁড়ে দিয়ে ২৯ রানের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৪ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। চিরাগ সুরিকে নাসুম আহমেদ, মুহাম্মদ ওয়াসিমকে তাসকিন, আরিয়ান লাকরা ও ভ্রিতিয়া আরভিন্দকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আউট করেন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন ওয়াসিম। অন্য তিনজনই প্যাভিলিয়নে ফেরেন সিঙ্গেল ডিজিটে।

এরপর দুর্দান্ত এক প্রতিরোধ গড়ে তুলেন রিজওয়ান ও বাসিল হামিদ। পঞ্চম উইকেটে তারা ৯০ রানের জুটি গড়েন। সেই জুটি ভাঙে এবাদত হোসেনের কল্যাণে। ৪২ রানে হামিকে সাজঘরে ফেরান এবাদত। জাওয়াদ ফরিদ করেন ৮ রান। ৫১ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান।

আরও পড়ুন: ব্যাটিংয়ে উন্নতি এনে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় বাংলাদেশ

এর আগে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশকে ২৭ রান এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমান। টানা তৃতীয় বারের মতো দলের হয়ে ওপেনিংয়ের সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হন সাব্বির। ৯ বল মোকাবিলায় সমান এক চার ও ছক্কার মারে ১২ রান করে আরিয়ান লাকরার বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন তিনি।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে লিটন কুমার দাস ও মিরাজ গড়েন ৪১ রানের জুটি। দারুণ ব্যাট করতে থাকা লিটন স্টাম্প ছেড়ে আয়ান খানকে মারতে গিয়ে পয়েন্টে থাকা ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। ২০ বলে ৪ চারের সাহায্যে তিনি করেন ২৫ রান। একপ্রান্ত আগলে রাখা মেহেদীকে এদিন বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় আফিফ হোসেন। আফিফ এদিন ১০ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ১৮ রান করে আউট হন।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন ও মেহেদী মিরাজ। কিন্তু দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে এদিন মিরাজকে ফিরতে হয় ফিফটি থেকে ৪ রান দূরে থাকতে।

আরও পড়ুন: র‌্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ ফারজানা-সানজিদাদের

ইনিংসের ১৫তম ওভারে সাবির আলীর করা পঞ্চম বলটি লাইনের বাইরে থাকলেও এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। ৩৭ বলে ৫ চারের মারে মিরাজ করেন ৪৬ রান। টি-টোয়েন্টিতে এটিই তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এশিয়া কাপে করা ৩৮ রান ছিল এ সংস্করণে মিরাজের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। মোসাদ্দেক এদিন নিজেকে ফিনিশারের ভূমিকায় মেলে ধরতে পারেননি। ১৭তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন ২২ বলে ২৭ রান করে। তার ইনিংস থেকে ২ চারের সঙ্গে আসে একটি ছয়ের মার।

মোসাদ্দেক যখন আউট হন তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান। শেষ তিন ওভারে দলকে ৩২ রানের বেশি এনে দিতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান ও ইয়াসির আলী। সোহান ১০ বলে ১৯ ও ইয়াসির ১৩ বলে ২১ রান করে অপরাজিত ছিলেন। দুজনের সমান একটি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়েছেন।

 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!