সিরিয়ায় মার্কিন হামলায় আইএসের ২ ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সদস্য নিহত
<![CDATA[
সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিগোষ্ঠীর ২ ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সদস্য নিহত হয়েছে। সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পূর্ব সিরিয়ায় স্থানীয় রাত ২টা ৫৭ মিনিটে হেলিকপ্টার দিয়ে হামলা চালানো হয়।
এতে আইএসের দুই ঊর্ধ্বতন সদস্য নিহত হয়েছে। অভিযানে কোনো বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়নি বলে দাবি করেছে তারা। সেন্টকম আরও জানিয়েছে, নিহত এক আইএস যোদ্ধার নাম ‘আনাস’। আনাস পূর্ব সিরিয়ায় আইএসের হয়ে হামলার পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নে কাজ করছিলেন।
আইএসের প্রধান নেতা আবু হাসান আল-হাশিমি আল-কুরায়শি নিহত হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দুই ঊর্ধ্বতন সদস্যের নিহতের ঘটনা ঘটল। ২০১৪ সালে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী ইরাক ও সিরিয়ার কিছু অংশ দখল করে। পরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের হামলায় তারা পিছু হটে।
আরও পড়ুন: কাবুলে পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতের ওপর হামলার দায় স্বীকার আইএস’র
২০১৯ সালে আইএস গোষ্ঠী তাদের শেষ ঘাঁটি হারিয়েছে। তবে আইএস গোষ্ঠীর সদস্যরা এখনও ইরাক ও সিরিয়ায় গুপ্ত হামলা চালাচ্ছে। সেন্টকমের মুখপাত্র জো বুকিনো বিবৃতিতে বলেছেন, আইএস এই অঞ্চলের(ইরাক ও সিরিয়া)নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। আইএসের ঊর্ধ্বতন দুই সদস্যের মৃত্যুতে তাদের মধ্যপ্রাচ্যে হামলা চালানোর ক্ষমতা ব্যাহত হবে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস ওয়ারের পর্যবেক্ষক জানিয়েছে, আইএসের প্রধান নেতা নিহতের তিন সপ্তাহের মধ্যে ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’ আইএসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে সেন্টকম। তারা আরও জানিয়েছে, কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) সৈন্যরাও অভিযানে জড়িত ছিল। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্বাধীনভাবে তথ্য যাচাই করতে পারেনি।
সিরিয়ায় প্রায় ৯০০ মার্কিন বাহিনী বাকি আইএস সদস্যদের বিরুদ্ধে লড়াইরত এসডিএফ বাহিনীকে সমর্থন এবং প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
]]>