সিলেটে নম্বরবিহীন অটোরিকশায় সয়লাব
<![CDATA[
নম্বরবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সয়লাব সিলেট শহর। ফলে সরকার রাজস্ববঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ঝুঁকিতে রয়েছেন যাত্রীরা। চালকদের দাবি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চাঁদা দিয়ে বিশেষ টোকেন নিয়ে চলছে এসব অটোরিকশা। আমদানি বন্ধ না করে আট বছর আগে বিআরটিএ রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দেয়ায় অবৈধ অটোরিকশার সংখ্যা বেড়েই চলছে।
মাসের নাম উল্লেখ করা স্টিকার বা পুলিশ টোকেন শোভা পাচ্ছে সিএনজিচালিত অবৈধ অটোরিকশাগুলোতে। চালকরা জানান, মাসে সাত থেকে আটশ টাকার বিনিময়ে ‘পুলিশ টোকেন’ সংগ্রহ করে সিলেটের আন্তঃ উপজেলায় চলছে অটোরিকশাগুলো।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সিলেটের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলাম জানান, ২০১৪ সালে অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন দেয়া বন্ধ হয়। ওই সময় পর্যন্ত সিলেট জেলায় রেজিস্টার্ড অটোরিকশার সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ২৩২টি। বর্তমানে তা ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন-৭০৭ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আহমদ জয়নুল বলেন, রেজিস্ট্রেশন বন্ধ হলেও অটোরিকশা আমদানি বন্ধ হয়নি। তাই কর্মসংস্থানের জন্য শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে অবৈধ পথ বেছে নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে মহাসড়ক দখল করে ট্রাক পার্কিং, বাড়ছে দুর্ঘটনা
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) উপকমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযান ও মামলা করে যাচ্ছে।
সড়ক পরিবহন আইনের ১৬ ধারায় রেজিস্ট্রেশনবিহীন যান চলাচল দণ্ডনীয় অপরাধ।
]]>