সীমান্তে মিয়ানমারের তৎপরতা জোরদার
<![CDATA[
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সীমান্তে গোলাগুলি, মর্টারের গোলাবর্ষণ ও হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ করছে মিয়ানমার বাহিনী। কয়েকবার মর্টার শেল ও ভারী অস্ত্রের গুলি সীমান্ত অতিক্রম করে এসে পড়েছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে।
সরেজমিনে কথা হয় তুমব্রু পশ্চিমকুল সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দা আবদুস সালামের সঙ্গে। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সৈনিকরা গুলি মারছে। আজকেও মেরেছে তিনটি। হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান দিয়ে মারা গুলি বাংলাদেশেও এসে পড়ছে। সৈনিকরা কাঁটাতার ঘেঁষে টহল দিচ্ছে।
তুমব্রু পশ্চিমকুল সীমান্তের আবদুস সালাম একা নন, প্রতিদিন কাঁটাতার ঘেঁষে মিয়ানমার সেনাবাহিনী আগ্রাসী আচরণ প্রত্যক্ষ করছেন মিয়ানমার সীমান্ত থেকে ১৫০ ফুট দূরে থাকা বাসিন্দারাও।
আরও পড়ুন: ‘শূন্যরেখায় হয় মরব, না হয় মিয়ানমারে ফিরব’
স্থানীয়রা বলছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী সীমান্তে মাইন পুঁতে রেখেছে এবং টহল জোরদার করেছে। ফলে অনেকটা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
শূন্যরেখার রোহিঙ্গারাও বলছেন, নিজেরা করে অন্যের ওপর দোষ চাপানো মিয়ানমারের পুরনো রেকর্ড।
শূন্যরেখা আশ্রয়শিবির ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদ বলেন, এগুলো মিয়ানমারের পুরনো রেকর্ড। তারা বারবার মিথ্যা কথা বলে। নিজেরা দোষ করে অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়। সীমান্তে আমাদের লোকজন দেখেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্প থেকে গুলি করছে।
আর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবি, সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনী নানা ধরনের আগ্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: নাফ নদী থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার
কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাফরুল ইসলাম বলেন, বিদ্রোহী গোষ্ঠী এদের কাছে এত ভারী গোলাবর্ষণ, হেলিকপ্টার এবং যুদ্ধযান থাকার কথা না। আমরা সীমান্তবর্তী হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে টহলরত দেখতে পাই।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ.কে.এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, তাদের অভ্যন্তরে তাদের সেনাশক্তি হয়তো অতিরিক্ত করা হয়েছে। বাঙ্কার ক্যাম্পগুলো যদি তারা ভেতরে ভেতরে বেশি তৈরি করে সেগুলো তো আর আমরা দেখতে পাচ্ছি না। কিন্তু বর্ডার বেল্টে তাদের কিছু চৌকিঘর ও ক্যাম্প এগুলো তো আছেই।
এরই মধ্যে মিয়ানমার বাহিনীর হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে জাতিসংঘের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে শূন্যরেখায় অবস্থান করা রোহিঙ্গারা।
]]>