সুকেশ প্রায়ই ফোন করতেন চাহাত খান্নাকে
<![CDATA[
সুকেশ চন্দ্রশেখর, ২০০ কোটির আর্থিক তছরুপের মামলার কথা এতদিনে সবার জানা। মামলায় নাম জড়িয়েছে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, নোরা ফতেহির। এবার সুকেশকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন আরেক অভিনেত্রী।
টেলি অভিনেত্রী চাহাত খান্নার দাবি, তিনিও সুকেশের ফাঁদে পা দিয়েছিলেন। মিথ্যার জালে জড়ানো হয়েছিল তাকে। তিহার জেলে সুকেশের সঙ্গে দেখা করতে একপ্রকার বাধ্য হয়েই গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি গেলে হাঁটু গেড়ে তার সামনে বসে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সুকেশ।
দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে সুকেশ চন্দ্রশেখরকে নিয়ে এমনই বয়ান দিয়েছেন চাহাত। তার কথায়, আমিও সবাইকে সবটা জানাতে চাই। চাহাতের কথায়, ‘সুকেশ বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার পর আমি চিৎকার করে বলেছিলাম, আমি বিবাহিত এবং আমার দুটি সন্তান আছে।’ কিন্তু সুকেশ বলেছিলেন, ‘আমার স্বামী আমার জন্য সঠিক মানুষ নন এবং তিনি আমার সন্তানদের বাবা হবেন। এসব কথায় এতটাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম যে আমি কাঁদতে লাগলাম।’
আরও পড়ুন: নতুন ভিডিওতে জল্পনা বাড়ালেন রণবীর
চাহাত বলেন, সুকেশকে তিনি জানতেন একটি জনপ্রিয় দক্ষিণ ভারতীয় টিভি চ্যানেলের মালিক হিসেবে, জানতেন প্রয়াত জে জয়ললিতার ভাগ্নে হিসেবে। চাহাত জানান, ঘটনাটা ২০১৮-র, তিনি আদপে না জেনেই তিহার জেলে গিয়েছিলেন। আসলে দিল্লির একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। মুম্বাই বিমানবন্দরে অ্যাঞ্জেল খান নামে এক নারী তার সঙ্গে দেখা হলে বলেন, তিনিও যাচ্ছেন ওই একই স্কুলে। এরপর বিমানবন্দর থেকে নেমে তারা একই গাড়িতে ওঠেন। মাঝে অ্যাঞ্জেল বলে এই গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না, অন্য গাড়ি নিতে হবে। এরপর অন্য একটি গাড়িতে তারা যাত্রা শুরু করেন। বোঝেন স্কুলে নয়, তিহার জেলে এসেছেন। তখনই বুঝে যাই ফেঁসে গিয়েছি। তিহার জেলের একটা ঘরে আমায় নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে ল্যাপটপ, ঘড়িসহ নানা বিলাসবহুল জিনিস।
চাহাতের দাবি, সুকেশের সহকারি পিঙ্কি ইরানির সঙ্গে অ্যাঞ্জেল খানের যোগ ছিল। চাহাতের কথায়, সেখানে শেখর রেড্ডি নাম এক ব্যক্তি তাদের সঙ্গে দেখা করেন, অ্যাঞ্জেল একপ্রকার তার কোলে বসে তাকে চুম্বন করতে থাকেন, যা দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে পালাতে চাইলে অ্যাঞ্জেল তাকে আটকে দেন। জানান, তিনি তার বন্ধু। এরপর মুম্বাই ফিরে ক্রমাগত হুমকি ফোন পেতে থাকেন। যদিও অ্যাঞ্জেল তাকে ব্লক করে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: সালমানকে ‘GOAT’ তকমা শাহরুখের
এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি হুমকি দিয়ে বলেন, ১০ লক্ষ টাকা না দিলে তার তিহার জেলের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হবে। শেষপর্যন্ত ৩ লাখ টাকায় রফা হয়। যে টাকা দিতে আমি বাবার থেকে ১ লাখ টাকা ধার করি। যদিও তারা কারা, তা এখনও পর্যন্ত জানি না। চাহাত জানান, সুকেশ প্রায়ই তাকে আন্তর্জাতিক নম্বর থেকে ফোন করত, প্রশ্ন করত তার কিছু প্রয়োজন কিনা। পরে জানতে পারি শেখরই আসলে সুকেশ।
প্রসঙ্গত ২০০ কোটির আর্থিক তছরুপের মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি রাখা হয়েছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
]]>