সেই কলেজশিক্ষিকার ময়নাতদন্ত রিপোর্টে যা জানা গেলো
নাটোরের আলোচিত কলেজশিক্ষিকা খায়রুন নাহারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শ্বাসরোধ হওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
নাটোর সদর হাসপাতালের তিন সদস্যের একটি চিকিৎসক দল ওই কলেজশিক্ষিকার ময়নাতদন্ত করেন।
নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. পরিতোষ রায় বলেন, ‘ময়নাতদন্তে কলেজশিক্ষকার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে শ্বাসরোধ হওয়ার কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। আলামত ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ভিসেরা রিপোর্ট আসলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।’
এদিকে খায়রুন নাহারের মৃত্যুর ঘটনায় তার চাচাতো ভাই সাবের উদ্দিন বাদী হয়ে রোববার (১৪ আগস্ট) রাতে নাটোর সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, রোববার রাতে কলেজশিক্ষিকার চাচাতো ভাই সাবের উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। মামলায় কাউকে অভিযুক্ত না করায় আটক মামুনকে (ওই শিক্ষিকার স্বামী) ৫৪ ধারায় সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
শনিবার (১৩ আগস্ট) গভীর রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে কলেজশিক্ষিকা আত্মহত্যা করেন বলে দাবি মামুনের। পরে রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বালারিপাড়া এলাকার হাজী নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চারতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।
খায়রুন নাহার নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। মাত্র আট মাস আগে কলেজছাত্র মামুনকে বিয়ে করেছিলেন খায়রুন নাহার।
Good job. Nice work.