সোনাগাজীতে মধ্যরাতে তালা ভেঙে সোনার দোকান লুট, ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৭০ হাজার টাকা হাওয়া
সোনাগাজী | তারিখঃ December 13th, 2022 | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 133 বার
সোনাগাজী প্রতিনিধি->>
সোনাগাজীতে সোনার দোকানের তালা ভেঙে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার মধ্যরাতের কোনো এক সময় পৌর শহরের তাহের জুয়েলার্সে এ ঘটনা ঘটে।
ওই দোকান মালিকের দাবি, দুর্বৃত্তরা দোকান থেকে লকার ভেঙে ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনার পর মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
তাহের জুয়েলার্স নামের ওই দোকানের মালিক মো. রুবেল বলেন, সোমবার রাতে তিনি দোকানের স্বর্ণালংকারগুলো লকারের ভেতরে রেখে তালাবন্ধ করে বাড়িতে যান। আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তিনি দোকান খুলে দেখেন, পেছনের দরজা ও লকারের তালা খোলা। এ ছাড়া দোকানের ভেতরে ঢুকে সবকিছু এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বিষয়টি থানা–পুলিশ ও উপজেলা জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের জানান।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। ওই দোকানে লুটের ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে। বাজার ও আশপাশের এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।
পৌরশহরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাতে শহরে পুলিশ ও বাজারের নৈশ প্রহরীরা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন। এত কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকার পরেও সোনার দোকান লুটের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন।
বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির পর জুয়েলারি দোকানে লুটপাট চালায় ডাকাতেরা। সোনাগাজী উপজেলার জমাদার বাজারে গত ৩০ অক্টোবর উপজেলার জমাদার বাজারে অর্জুন জুয়েলার্সের মালিক অর্জুন চন্দ্র ভাদুড়িকে (৫২) কুপিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাতের দল। এ সময় ডাকাতদের ছোড়া বোমার আঘাতে শহীদুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন পথচারী আহত হন। দীর্ঘ ১১ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় অর্জুন ভাদুড়ি মারা যান। ঘটনার দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও ঘটনা রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
উপজেলা জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বলেন, এক ঘটনার রেশ না কাটতেই আরেকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটায় ব্যবসায়ারীরা খুবই আতঙ্কিত। তিনি দ্রুত এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।