সোনারগাঁও আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
<![CDATA[
স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী সম্মেলনে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কর্মী সম্মেলনে স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু ও জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হামীম শিকদার শিপলুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ছুরিকাঘাতে চারজনসহ ১০ নেতা-কর্মী আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এদিকে পুলিশ কয়েক দফায় উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দিলেও তারা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় কর্মী সম্মেলনের চেয়ার টেবিল ও মঞ্চ ভাঙচুর করা হয়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের হাঁটু ও কোমর ভাঙবে না: ওবায়দুল কাদের
স্থানীয়রা জানান, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। এতে জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হুমায়ুন কবির ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার, সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান মাসুম, ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু।
সম্মেলনের শেষ দিকে স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হামীম শিকদার শিপলুর এক সমর্থককে মঞ্চের পেছনে ডেকে নিয়ে মারধরের সূত্রধরে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে শিপলুর লোকজন উত্তেজিত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে মঞ্চ ভেঙে পড়ে গেলেন ওবায়দুল কাদের
জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শিপলু জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরুর লোকজন তার নেতাকর্মীদের ওপর পরিকল্পিত হামলা করে। এ সময় তার সমর্থক শিকদার জিহাদ, শিকদার তাসফি, মাহমুদ রহমান রাব্বী ও ইমনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ ছাড়া কাউসার, পলাশ, শাহরিয়ার, তানভীরসহ ছয়জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু বলেন, আমি শিপলু চেয়ারম্যানের সমকক্ষ না। আমি জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। আমার নেতাকর্মীরা এই হামলার সঙ্গে জড়িত না।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান উল্লাহ জানান, সংঘর্ষ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ উভয়পক্ষের লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
]]>




