বাংলাদেশ

সোনার বাংলাদেশ সোনা দিয়েই ভরতে হবে: সায়েম সোবহান

<![CDATA[

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর বলেছেন, আমাদের সোনার বাংলাদেশ, সোনা দিয়েই ভরতে হবে। তামা দিয়ে হবে না। আমরা তামা-সিলভার না। আমরা সোনার বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা- আইসিসিবিতে অনুষ্ঠিত ‘বাজুস সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা-২০২২’র সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সায়েম সোবহান বলেন, দেশের উন্নয়নে জুয়েলারি খাতের বিকল্প নেই। আমার কাজ ছিল জুয়েলারি খাত গুছিয়ে আনার। সেটা করেছি। এখন এই শিল্পকে ধরে রেখে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ সারা দেশের ৪০ হাজার জুয়েলারি ব্যবসায়ীর।

আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী হোসিয়ারি গার্মেন্টস শিল্প

তিনি বলেন, এখন সব জায়গায় কোনো কিছু কিনতে গেলে মেড ইন চায়না দেখা যায়। এখন কিন্তু বিভিন্ন জায়গা মেড ইন বাংলাদেশও দেখা যায়। আরও কিছু না হলেও বাংলাদেশি পোশাক পণ্য দেখা যায়। আমি চাই আগামী দিনে বাংলাদেশি জুয়েলারি খাতের নামও বিশ্বের বুকে থাকুক।

তিনি আরও বলেন, আমার যে জুয়েলারি কারখানা হচ্ছে, সেখানে প্রায় ১২ হাজার ভরি উৎপাদন করব। প্রাথমিকভাবে ৬ হাজার শ্রমিক কাজ করবে। আমি পাঁচ বছরের যে রোডম্যাপ করেছি সেখানে প্রায় ৩০ হাজার ভরি পর্যন্ত গহনা তৈরি করব। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার লোক আমার কারখানায় কাজ করবেন। আমার মতো যদি আরও ১০টা উদ্যোক্তা আসে এই জুয়েলারি শিল্প বাংলাদেশকে উজ্জ্বল করবে। ধীরে ধীরে এই শিল্প অন্য শিল্পকে ছাড়িয়ে যাবে।

আনভীর বলেন, জাপানে কিন্তু কোনো কাঁচামাল নেই। আমরাও একই অবস্থানে। আমাদের কোনো কাঁচামাল নেই। তাহলে জাপান কী করছে? কাঁচামাল আমদানি করে রূপান্তরের পর উচ্চমূল্যে তারা রফতানি করছে। এটাই ব্যবসার থিম। আমাদের একই থিম অনুসরণ করতে হবে।

আরও পড়ুন: ‘সিটি ইকোনমিক জোন’ ঘুরে মুগ্ধ কানাডিয়ান হাইকমিশনার

বাজুস সভাপতি আরও বলেন, আমার খুব কষ্ট লাগে, যখন আমি দেখি আমাদের বাংলাদেশের লোকজন গিয়ে বিদেশ থেকে গহনা কিনে আনেন। কিন্তু দেখুন বাংলাদেশের কারিগর বিশ্বসেরা। বাংলাদেশে একটা ভালো ডিজাইন ইনস্টিটিউট নাই। ইনস্টিটিউট নিয়ে আমার অনেক বড় স্বপ্ন আছে। আমাদের চারুকলা ইনস্টিটিউট আছে। আমার চিন্তায় আছে ডিজাইন স্টুডিও গড়ে তোলার। ভোকেশনাল সেন্টার নিয়েও ভাবছি। এগুলো যদি যুক্ত করে সবকিছু যদি একটা ছাতার নিচে আনা যায়। তাহলে এই শিল্পে বিপ্লব ঘটবে।

বাজুস সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় মনোমুগ্ধকর বর্ণিল এই আয়োজনে গান পরিবেশন করেন দেশের প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী ও বাজুস অ্যাম্বাসেডর মমতাজ বেগম। তিনি বাজুসের থিম সং ‘নারী হয় অনন্যা রূপের অংহকারে/ সেই রূপ অপরূপ সোনার অলঙ্কারে’ শীর্ষক সংগীতের মধ্যদিয়ে একে একে তার জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন। বাজুসের থিম সংটি লিখেছেন খ্যাতনামা গীতিকার কবির বকুল। সুর করেছেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা কিশোর দাস।

অনুষ্ঠানে রাজধানীর সব বাজুস সদস্যসহ সারা দেশের জেলা শাখা সমূহের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা শাখা সমূহের সভাপতিসহ প্রায় দেড় হাজার জুয়েলারি ব্যবসায়ীর মিলন মেলায় পরিণত হয়।

এরআগে দুপুরে সারা দেশের জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা বাজুস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার বাসভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এই সভায় সাংগঠনিক দিক-নিদের্শনামূলক বক্তব্য দেন বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর।

আরও পড়ুন: কমলো সয়াবিন তেলের দাম

এছাড়াও আইসিসিবিতে বিকেলে জেলা ও উপজেলা নেতাদের অংশগ্রহণে জাতীয় প্রতিনিধি সভা-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় সারা দেশের জুয়েলারি ব্যবসায়ী নেতাদের কাছে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা ও সাংগঠনিক কর্মপরিধি তুলে ধরেন বাজুসের সাবেক সভাপতি ডা. দিলীয় কুমার রায় ও এনামুল হক খান দোলন, সহসভাপতি গুলজার আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, এম. এ. হান্নান আজাদ, বাদল চন্দ্র রায়, ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন, সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার আগরওয়ালা প্রমুখ। 
 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!