স্কুলের বারান্দা থেকে ফেলে দিলেন শিক্ষক, শিক্ষার্থীর মৃত্যু
<![CDATA[
শিক্ষকের মারধরের শিকার হয়ে ১০ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ওই শিক্ষকের মারধরেরে শিকার হয়েছেন সেই শিক্ষার্থীর মাও। সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্ণাটকের গদক জেলার হাগলি গ্রামের আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল ১০ বছরের ভরত। সোমবার সকালে ভরতকে বেলচা দিয়ে পিটিয়ে স্কুলের দোতলার বারান্দা থেকে তাকে ফেলে দেন মুথাপ্পা নামে ওই শিক্ষক। এ সময় ভরতের মাকেও মারধর করেন তিনি।
গদকের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা শিবপ্রকাশ দেবারাজু বলেছেন, ‘ঘটনাটি কী কারণে ঘটেছে তা এখনো পরিস্কার নয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাদের মধ্যে কোনো পারিবারিক দ্বন্দ্ব রয়েছে।
আরও পড়ুন: কিশোরীকে ধর্ষণ, ছেলেকে সাহায্য করে জেলে মা
পুলিশ কর্মকর্তা শিবপ্রকাশ দেবরাজু আরও বলেছেন, ‘এই সময় মুথাপ্পা ভরতের মা গীতা বারকারকেও মারধর করেন। গীতাও ওই বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতলে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’ পুলিশ জানিয়েছে, আসামী এখনও পলাতক।
এর আগে গত সপ্তাহেই রাজধানী নয়াদিল্লিতে একই রকম ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ক্ষুব্ধ হয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কাঁচি দিয়ে আক্রমণ করে স্কুল ভবনের দোতলা থেকে ফেলে দেন এক শিক্ষিকা।
পুলিশ বলেছে যে, ওই শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের একটি শ্রেণীকক্ষের মধ্যে আটকে রেখে মেয়েটিকে বের করে নিয়ে যান। তিনি শিক্ষার্থীকে বের করে নিয়ে যাওয়ার আগে ‘হিংস্রভাবে’ তার পানির বোতল ছুঁড়ে ফেলে দেন, তারপর চুল কেটে বারান্দা থেকে ফেলে দেন।
]]>