স্টেডিয়ামের ছাদে উল্টো ঝুলে ধারাভাষ্য দিলেন নারী ধারাভাষ্যকার
<![CDATA[
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক অনন্য নজির গড়লেন আইসিসি টিভির নারী ধারাভাষ্যকার নাতালি জার্মানোস। পার্থে রোববার (৩০ অক্টোবর) পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার ম্যাচ চলাকালে স্টেডিয়ামের ছাদে ঝুলে ধারাভাষ্য দিয়ে সবাইকে অবাক করে দেন এ প্রোটিয়া ধারাভাষ্যকার।
টিভির সামনে বসে থাকা দর্শকদের জন্য মাঠের খেলাকে প্রাণবন্ত করে তোলেন ধারাভাষ্যকাররা। ম্যাচ বিশ্লেষণের পাশাপাশি তারা মাঝেমধ্যে দর্শকদের নানাভাবে বিনোদন দেবার চেষ্টা করেন। তবে সেটা কমেন্ট্রি বক্সের মধ্যেই। যদিও বিশ্বকাপের মতো বড় আসরগুলোতে মাঝেমধ্যে গ্যালারিতেও তাদের দেখা যায়। মাইক হাতে তারা কথা বলেন ডাগআউটে বসে থাকা খেলোয়াড়ের সঙ্গেও। তবে স্টেডিয়ামে ছাদে কখনো কোনো ধারাভাষ্যকারকে নাতালির আগে ধারাভাষ্য দিতে দেখা যায়নি। তাও আবার বাদুড়রের মতো উল্টো ঝুলে!
আরও পড়ুন: প্রথম জয়ে সেমির আশা জিইয়ে রাখল পাকিস্তান
পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের ম্যাচ চলাকালে সবাই যখন বাবর-অ্যাকারম্যানদের নিষ্প্রভ লড়াই দেখে যাচ্ছিল, তখন হঠাৎ ক্যামেরায় এক ভিন্ন ভঙ্গিতে ধরা পড়েন নাতালি। পার্থ স্টেডিয়ামের বিশাল উচ্চতায় থাকা ছাদে তিনি ঝুলতে ঝুলতে দেন ম্যাচের ধারাভাষ্য। অবশ্য তার সঙ্গে ছিল সব রকম সুরক্ষার ব্যবস্থা। তারপরও কেন এত ঝুঁকি নিয়ে তার এমন ধারাভাষ্য?
ঝুলতে ঝুলতেই নাতালি বলেন, ‘ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে খেলা দেখা যাচ্ছে।’ সে দৃশ্য আবার মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক মাধ্যমে। যেখানে তার এমন পাগলামির নিয়ে কথা বলেন অন্য ধারাভাষ্যকাররাও।
বিবিসির ধারাভাষ্যকার আতিফ নওয়াজ রসিকতা করে তার এক টুইটে লেখেন, ‘আমি আগেই জানতাম, খেলা নিয়ে যে নাতালির একটা ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি আছে।’
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য
শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান ধারাভাষ্যকার রাসেল আর্নোল্ড লেখেন, ‘ এমন উচ্চতায় আমি ভয় পেতাম। অসাধারণ নাত।’
এর আগে নিজের টুইটারে ঝুলে ঝুলে ধারাভাষ্য দেয়ার অভিজ্ঞা নিয়ে লেখেন, ‘এটা একটা অবিস্মরণীয় সুযোগ ছিল! সেখানে ওঠাটা ছিল এক চমৎকার ব্যাপার। বাতাসে ঝুলে ঝুলে ধারাভাষ্যটা দেয়াটা ছিল অবিশ্বাস্য এক অভিজ্ঞতা!’
]]>




