স্ত্রীরা এই অভ্যাস বাদ দিলেই স্বামীর মন জিততে পারবেন
<![CDATA[
বিয়ের পর সাংসারিক জীবন হাসি কান্নায় কাটবে এটাই বাস্তবতা। কখনো খারাপ সময় আসবে আবার কখনো হাসিখুশিতে কেটে যাবে। তবে জীবনের এই দৌড়ে জিততে হলে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। এসব বিষয়গুলো সংসার জীবনের প্রথম থেকেই মেনে নিলে পরে আর মারাত্মক আকারে রূপ নেবে না।
প্রতিটি মানুষের কিছু ভালো দিক থাকে আবার খারাপ দিক থাকে। এই দুই মিলিয়ে সামনের দিকে এগোতে হতে। ভালোবাসার মানুষটার যে শুধু ভালোটাই নেব আর খারাপটা নেব না এমনটা হওয়া মোটেই সমীচিন নয়। তবে এরপরও বলা যেতে পারে কিছু কিছু বদভ্যাস সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়।
সাধারণত পুরুষরা নিজের স্ত্রীর বেশিরভাগ বিষয়ই মেনে নেন। তবে এমন কিছু কিছু জিনিস রয়েছে যা তারা একবারেই পছন্দ করেন না। এই কারণে অনেক সময়ই দাম্পত্যে জীবনে খারাপ প্রভাব পড়ে। আমাদের সেই অন্ধকূপের রাস্তাটা চিনে নিয়ে দূরে থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: যে রঙের পোশাকে আপনাকে দেখে মুগ্ধ হবে প্রিয়জন
মনে রাখবেন, এই বদঅভ্যাস বয়ে নিয়ে যেতে থাকলে সম্পর্কের ক্ষতি। এক সময় বিচ্ছেদের আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই সচেতন থাকাটা সবার আগে জরুরি। এই প্রতিবেদনে সেসব বিষয় নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
চিৎকার করে কথা বলা
অনেক নারীর স্বভাব থাকে যে তারা চিৎকার করে কথা বলেন। দোষ মেনে নিতে চান না। বরং সব সমস্যার সমাধান হিসেবে চিৎকারের সাহায্য নেন। এমনকি অনেক সময় ছোটখাটো বিষয়েও তারা গলা তুলে কথা বলেন। মনে রাখবেন স্ত্রীর এই অভ্যাস স্বামীর পছন্দ হয় না। বরং তারা চান যত দ্রুত সম্ভব স্ত্রী যেন নিজেকে বদলে নেন।
পরনিন্দা
অনেক নারীরাই এ কাজটা করে থাকেন। তবে মনে রাখবেন, এমন কূটকাচালি কিন্তু পুরুষদের পছন্দ নয়। তারা সহজ সরলভাবে জীবনকে দেখেন। এমনকি চেষ্টা করেন অন্যের ঝামেলা থেকে দূরে থাকার। তাই পরনিন্দা করা যাবে না একবারেই। বরং নিজেদের জীবনের দিকে মনোনিবেশ করুন। অন্যের দিকে তাকিয়ে অহেতুক সময় নষ্ট নয়। এতে সমস্যা বাড়বে, কমবে না।
অতিরিক্ত কথা বলা
কিছু কিছু নারীর অভ্যাস হচ্ছে অতিরিক্ত কথা বলা। তারা যেকোনো বিষয়ের কথার মধ্যে প্রবেশ করেন। এমনকি অহেতুক কথা বলতে থাকেন। এ কাজটি করা একদমই ঠিক নয়। স্ত্রীর মধ্যে এ অভ্যাস থাকলে স্বামীর সমস্যা হয়। এমনকি তারা চান স্ত্রী যেন এই ভুল শুধরে নেন। কোনো কোনো পুরুষ মুখ ফুটে বলেন, আবার কেউ বলেন না।
বাপের বাড়িই সব
প্রত্যেক নারীদের নিজের পরিবার রয়েছে। তারা সেটা নিয়ে থাকতে পছন্দ করেন। তবে বারবার স্বামীর সামনে তাদের নিয়ে বড়াই করার কোনো কারণ নেই। কারণ এই বিষয়টা পুরুষের মন সুস্থভাবে নেয় না। স্বামী ভাবতে শুরু করেন যে এভাবে তার পরিবারকে ছোট করা হচ্ছে। তাই স্ত্রীর কাছে বাপেরবাড়ির অত্যধিক প্রশংসা শুনলেই পুরুষের মন খারাপ হয়।
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বাদ দিন ৫ ধরনের খাবার
নিজের ছাড়া কারও নয়
বিয়ের পর আপনারা এখন জুটি। স্ত্রী ও স্বামীর সমান সমান ভাগ। তবে অনেক সময় দেখা যায় যে স্ত্রী নিজেরটা ছাড়া কারও বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এমনকি স্বামীর স্বার্থও তার কাছে ছোট। এই ধরনের বদভ্যাস নারীদের অবশ্যই ছাড়তে হবে। তবেই স্বামীর মনের কাছে থাকা যাবে।
আর পুরুষরা সমস্যা লুকিয়ে রাখবেন না। বরং কথা বলুন মুখ ফুঁটে। মন খুলে কথা বলতে পারলেই দেখবেন সব সমস্যার সমাধান হয়েছে।
]]>




