স্থগিত হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনে ভোট সকালে
<![CDATA[
অনিয়মের কারণে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়া গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচনে পুনঃভোট হতে যাচ্ছে। বুধবার (৪ জানুয়ারি) শূন্য আসনের স্থগিত হওয়া উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ভোটগ্রহণের সরঞ্জামাদি।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এই আসনের স্থগিত ভোটগ্রহণ। একটানা ভোট চলবে ইভিএমে; থাকবে সিসি ক্যামেরাও। ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে ঢাকার নির্বাচন ভবন থেকেও।
এই আসনের দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রে নারী-পুরুষসহ ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। পুনরায় ভোটগ্রহণে খুশি এ আসনের ভোটাররা। চাইছেন সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশ।
এদিকে নির্বাচনে অনিয়মের পুনরাবৃত্তি হলে ছাড় দেয়া হবে না বলে সতর্ক করে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, ‘অনিয়মের গ্র্যাভিটি দেখে সেই মুহূর্তে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এটুকু বলতে পারি, কোনো অনিয়মকে প্রশ্রয় একেবারেই দেব না আমরা।’
এর আগে, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্মেলন শেষে ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাচন অফিস ও সাঘাটা উপজেলা নির্বাচনে অফিস থেকে নির্বাচনী সামগ্রী কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন জানান, নির্বাচনে অনিয়ম ঠেকাতে এ আসনের দুই উপজেলার ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রেই থাকছে সিসি ক্যামেরা। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাবের ৯টি টিম, ৪ প্লাটুন বিজিবি, ৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে ৬টি মোবাইল টিম মাঠে কাজ করবে। এ ছাড়াও নিরাপত্তায় বাড়তি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন: ‘হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবে না ইসি’
‘কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ১৪৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৯৫২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ১ হাজার ৯০৪ জন পোলিং অফিসার।’
গাইবান্ধা -৫ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, ভোটগ্রহণ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করতে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়। সেই আসনে গত ১২ অক্টোবর উপনির্বাচনে সম্পূর্ণ ইভিএমে ভোটগ্রহণ হচ্ছিল। তবে সিসি ক্যামেরায় এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রে অনিয়মের দৃশ্য দেখে মাঝপথে ঢাকা থেকে নির্বাচন বন্ধের নির্দেশ দেয় ইসি।
গাইবান্ধায় এর আগে ভোটে অনিয়মে জড়িতদের চিহ্নিত করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। সেই তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মে সম্পৃক্ততার দায়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, পুলিশের উপপরিদর্শক, নির্বাহী হাকিমসহ শতাধিক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাচনী এজেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এক মাস সময়ের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে জানাতে বলা হয়েছে ইসি থেকে।
এরপর গত ৬ ডিসেম্বর গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনের পুনঃভোটের জন্য ৪ জানুয়ারি নতুন তারিখ ঠিক করে নির্বাচন কমিশন।
এই পুনঃভোটের জন্য প্রার্থীদের প্রচারকালে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান নেয় নির্বাচন কমিশন।
]]>




