স্বাধীনতাবিরোধী কোনো দল রাজনীতি করার অধিকার রাখে না: আ ক ম মোজাম্মেল
<![CDATA[
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, পৃথিবীর কোনো দেশেই স্বাধীনতাবিরোধী কোনো দল রাজনীতি করার অধিকার রাখে না। জামায়াতে ইসলামীরও সুযোগ নেই।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর তেজগাঁও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি, ৮নং ফ্লোর) বিজয় দিবস উপলক্ষে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘বিজয়ের চেতনা বৃথা যায়নি’ শিরোনামে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি এ কথা বলেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, যে রাজনৈতিক দল মুক্তিযুদ্ধের সময় বিরোধিতা করেছে সেই দল স্বাধীন দেশে রাজনীতি করে কীভাবে; এটা আমার মাথাতেই আসে না। এমনকি তারা এখনো এটা নিয়ে অনুতপ্ত না হয়ে উল্টো বলছেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় যা করেছেন সঠিক করেছেন। সেই দলকে আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: পঁচাত্তর পরবর্তী সরকারগুলো দেশকে ব্যর্থ করতে চেয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী
পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধান করে গেছেন বঙ্গবন্ধু মন্তব্য করে তিনি বলেন, ৭২ সালে বঙ্গবন্ধু যে সংবিধান করেছেন তা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধান। এতে দেশের মানুষের সব অধিকারের কথা উঠে এসেছে। এই অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই কাজ করছে বর্তমান সরকার।
উন্নয়নের দিক দিয়ে আমরা সব জায়গায় এলেও সমাজ থেকে বৈষম্য এখনো দূর হয়নি মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন ছাড়াও দেশের আরও অনেক ক্ষেত্র আছে যাতে আমাদের কাজ করতে হবে। ৫২ বছরেও আমরা আমাদের দেশের অবস্থান সেই জায়গায় নিয়ে যেতে পারিনি। দায়িত্ব পালনের প্রতি আমরা এখনো যত্নশীল হতে পারিনি। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিজয়টা আঞ্চলিকভাবে হলে হবে না; সামগ্রিকভাবে হতে হবে। যাতে সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় সেদিকে আমাদের সবাইকে নজর রাখতে হবে। কাজ করে যেতে হবে। তবে কিছু অপূর্ণতা থাকলেও বিজয়ের চেতনা বিফলে যায়নি।
এ সময় বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যারা ডিবেট করে তাদের দক্ষতা ও কৌশল আমাকে মুগ্ধ করে। আমি যে বক্তব্য ১ ঘণ্টায়ও দিতে পারব না। অথচ ওরা ২/৩ মিনিটেই সেই বক্তব্য দিয়ে দিতে পারেন। অল্প সময়ে যে মূল কথাগুলো বলার এই যোগ্যতা বেশ প্রশংসনীয়।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বিজয়ের ৫১ বছরপূর্তিতে আজ আমাদের বলতে হয় স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশকে যারা তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিল, তাদের তাক লাগিয়ে প্রিয় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। তবে গত ৫১ বছরে দেশের অনেক অগ্রগতি হলেও এখনও বড় চ্যালেঞ্জ দুর্নীতি প্রতিরোধ করে সুশাসন ও সম্পদের সুষম বণ্টন করা। বাংলাদেশের এখনো খড় সমস্যা আর্থিক বৈষম্য।
তিনি বলেন, জিডিপির প্রবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ উৎপাদন,পদ্ম সেতু, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, নারীর ক্ষমতায়ন, গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ নানা সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি আমাদের মনোবলকে শক্তিশালী করে। কারণ যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটি এখন উন্নয়নের রোল মডেল। তাই দেশের অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে রাজনীতিবিদ ও আমলাসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতার শ্রেষ্ঠ বিতার্কিককে ট্রফি প্রদান করেন অনুষ্ঠানের অতিথি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
আরও পড়ুন: সৈয়দপুর মুক্ত দিবস আজ
বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আজকের এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বক্তা হয়েছেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শায়লা নুশমা।
দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ বক্তা সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবরার ফাইয়াজ।
তৃতীয় শ্রেষ্ঠ বক্তা যৌথভাবে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের রাদিয়াহ তাসনীম খান ও বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজের এইচ এম নাঈম সানজিদ।
]]>




