হাওরে উড়াল সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা
<![CDATA[
সম্পূর্ণ সরকারি খরচে কিশোরগঞ্জের হাওরে সাড়ে ১৫ কিলোমিটার উড়াল সড়ক নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে খরচ ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৬৫১ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলা সদর থেকে করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালি পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি সেতু বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করবে। ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৬৫১ কোটি ১৩ লাখ টাকা আর প্রকল্পটির সময়কাল ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত।
কিশোরগঞ্জ জেলার কিশোগঞ্জ সদর, করিমগঞ্জ, নিকলি ও মিঠামইন উপজেলায় এ প্রকল্পের কাজ চলবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের খরচ ও মেয়াদ বাড়ল
এ উড়াল সড়ক নির্মাণের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলা সদর হতে মিঠামইন সেনানিবাসকে সংযুক্ত করে করিমগঞ্জ উপজেলা পর্যন্ত হাওড়ের ওপর দিয়ে ১৫ দশমিক ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল সড়ক নির্মাণ। নাকভাঙ্গা মোড় থেকে মরিচখালি বাজার পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৪০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণের মাধ্যমে ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলাসহ এর আশেপাশের হাওড় এলাকার সঙ্গে কিশোরগঞ্জ জেলা সড়র এবং ঢাকা, সিলেট ও অন্যান্য জেলার সঙ্গে সরাসরি ও নিরবচ্ছিন্ন সব আবহওয়ায় চলাচেলের জন্য উপযোগী সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা।
এর প্রকল্পের আওতায় ১৩ দশমিক ৪০ কিলোমিটার সড়ত প্রশস্ত করা হবে; ১৫ দশমিক ৩১ কিলোমিটর উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হবে; ১ হাজার ২৩০ মিটার সেতু নির্মাণ (৪৩০ মিটার দৈর্ঘের ২টি, ৩৩০ মিটার দৈর্ঘের ১টি এবং ৪০ মিটার দৈর্ঘের ১টি) করা হবে; ১৩টি টেলা প্লাজা (টোল বুথ, ওজন স্টেশস ও টোল যন্ত্রপাতিসহ) , টোল মনিটরিং ভবন, চেক পোস্ট ইত্যাদি; ১৩ কিলোমিটার অস্থায়ী সাবমারসিবল সড়ক নির্মাণ; ৪টি ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন (শোধনাগারসহ); ৪টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ; ৪০ হাজার ৪৬৮ বর্গমিটার কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড; ৮ হাজার ২২৪ বর্গমিটার বাস স্টপ নির্মাণ; ১৫১ দশমিক ০৯ একর ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন বা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
]]>