বিনোদন

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে তিউনিসিয়া-অস্ট্রেলিয়া

<![CDATA[

প্রথমবার নকআউট পর্বে খেলার স্বপ্ন দেখছে তিউনিসিয়া। কাতারে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী ডেনমার্ককে রুখে দেয়া থেকে প্রেরণা পাচ্ছে আফ্রিকার দেশটি। ‘ডি’ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচ তিউনিসিয়াদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া।

বাংলাদেশ সময় শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় শুরু হবে ম্যাচটি। দুদলের কাছেই এই ম্যাচ টিকে থাকার লড়াই। খেলা যে হাড্ডাহাড্ডি হতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

 

গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্য়াচে দুদলই জয়ের দেখা পায়নি। কাতারে নিজেদের পথম ম্যাচে ক্রেইগ গডউইনের গোলে এগিয়ে গেলেও পরে চারটি গোল হজম করে হার মানে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কাছে ১-৪ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে চমক দেখিয়ে শেষ ষোলোতে খেলার পর থেকে গ্রুপের বৃত্তেই আটকে আছে সকারুরা।

অন্যদিকে শক্তিশালী ডেনমার্ককে রুখে দিয়ে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে তিউনিসিয়া। টিকে থাকার লড়াইয়ে তিউনিসিয়ার মিডফিল্ডে রয়েছেন তরুণ প্রতিভা হ্যানিবাল মেজব্রি। এ ছাড়া আক্রমণভাগে ইসাম জেবালি ও ওয়াহবি খাজরির জ্বলে ওঠার প্রত্যাশায় থাকবে তিউনিসিয়া।

আরও পড়ুন: ইনজুরির কারণে বাদ, নেইমারের আবেগঘন বার্তা

এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে নিজেদের ১৬টি ম্যাচের মধ্যে ১৪টিতে ক্লিনশিট রাখতে ব্যর্থ হয়েছে তিউনিসিয়া। হজম করেছে ২৫টি গোল। মাত্র একবার জিতেছে তিউনিসরা, চার বছর আগে পানামাকে হারিয়েছে তারা।

এবার গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ডেনমার্কের বিপক্ষে ০-০ গোলে ড্র করে তিউনিসিয়া। এর আগে ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে পশ্চিম জার্মানির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র তাদের প্রথম ক্লিন শিট।

অস্ট্রেলিয়া এ পর্যন্ত তাদের ১৭টি বিশ্বকাপ ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটি জিতেছে। এ ছাড়া ৪টি ড্র ও ১১টি হার রয়েছে। দুটি জয়ই গ্রুপ পর্বে। ২০০৬ সালে জাপানের বিপক্ষে ৩-১ গোলে এবং ২০১০ সালে সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পায় তারা। ১৯৭৪ সালে চিলির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র ম্যাচটিই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ১৬ ম্যাচে একমাত্র ক্লিনশিট।

এবারসহ ছয়টি বিশ্বকাপের পাঁচটিতেই নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপে একবারই গ্রুপ পর্ব পার হতে পেরেছে সকারুসরা। ২০০৬ সালে শেষ ষোলোতে পৌঁছেছিল দলটি।

আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডকে আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্র

এনিয়ে তৃতীয়বার মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-তিউনিসিয়া। সাম্প্রতিক ফল অবশ্য তিউনিসিয়ার পক্ষে। গত জানুয়ারি থেকে কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হারেনি তারা। তা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও সবশেষ ফল তাদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক। ২০০৫ সালের জুনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচটি জিতেছিল আফ্রিকানরা। কনফেডারেশন্স কাপে সকারুদের ২-০ গোলে হারিয়েছিল তিউনিসরা।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!