‘হোয়াইট গোল্ড’ উৎপাদন শঙ্কায় ঘের মালিকরা
<![CDATA[
সাতক্ষীরার হোয়াইট গোল্ড খ্যাত বাগদা ও গলদা চিংড়ির উৎপাদন নিয়ে বিপাকে ঘের মালিকরা। চিংড়ি রেণুর দাম বৃদ্ধি, ঘেরে পানি স্বল্পতাসহ নানা সমস্যায় ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ। এ অবস্থায় মৎস্য বিভাগের সুষ্ঠু পরিকল্পনার প্রয়োজন বলে মত চিংড়ি চাষি সমিতির।
এদিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেছেন, সরকার ডেল্টা প্ল্যানের আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে নদী খননের কাজ চলমান রয়েছে।
জানা গেছে, রফতানিযোগ্য চিংড়ির একটি বড় অংশ চাষ হয় সাতক্ষীরায়। এখানে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি চিংড়ি রেণু নার্সিং পয়েন্ট, হ্যাচারিসহ ফিস প্রসেসিং ফ্যাক্টরি। তবে সম্প্রতি চিংড়ির উৎপাদন কমে যাওয়ায় কয়েকটি নার্সিং পয়েন্ট ও হ্যাচারি বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু একটি ফিস প্রসেসিং ফ্যাক্টরি চালু রয়েছে।
মানসম্মত চিংড়ি রেণুর অভাব, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, ঘেরে পানি স্বল্পতাসহ নানা কারণে চাষ ব্যাহত হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
তাদের দাবি, বর্তমানে চিংড়ি রেণু হাজারে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ঘেরে ভাইরাস দেখা দিয়েছে। ফলে এবার চিংড়ি বিক্রি করে উৎপাদন খরচ উঠবে না বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
আরও পড়ুন: সাদা সোনাখ্যাত চিংড়ির রফতানি কমেছে
এ অবস্থায় মৎস্য বিভাগের সুষ্ঠু পরিকল্পনার প্রয়োজন বলে মনে করেন সাতক্ষীরা জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির নেতারা।
সাতক্ষীরা জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, সুষ্ঠু পরিকল্পনা এবং তদারকি, বিশেষ করে মৎস্য কর্মকর্তাদের একটু খেয়াল রাখতে হবে।
সরকারের ডেল্টা প্ল্যানের আওতায় নদী খননের কাজ চলমান রয়েছে। খাল খনন করা হলে ঘেরে পানি স্বল্পতা কমে যাবে।
সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র সহসভাপতি এনছার বাহার বুলবুল বলেন, এরই মধ্যে সরকার আমাদের খালগুলো ও নদীগুলো খনন করার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু এগুলো এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।
আরও পড়ুন: দশম পণ্য হিসেবে জিআই সনদ পেল বাগদা চিংড়ি
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, মরিচ্চাপ ও বেতনা নদীসহ বেশকিছু নদীতে খনন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কিছু নদী খনন শেষ হয়েছে।
চলতি বছর ৬৬ হাজার ৮০৬ হেক্টর জমির ঘেরে বাগদা এবং ৯ হাজার ১৭ হেক্টর জমিতে গলদা চাষ হয়েছে, যা থেকে ৪০ হাজার টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে মৎস্য বিভাগ।
]]>