১০ সন্তানের মায়েদের ‘মাদার হেরোইন’ পুরস্কার দিলেন পুতিন
<![CDATA[
রাশিয়ার যে সব মায়েরা দশ সন্তানের অধিক সন্তান জন্ম দিয়েছেন, সেসব মায়েদের সম্মাননা জানিয়ে ‘মাদার হেরোইন’ পুরস্কার দিলেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পরিবারকে প্রতিষ্ঠান হিসেবে শক্তিশালী করা ও সন্তানদের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার অসামান্য কৃতীত্বের জন্যে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের এক ডিক্রিতে পুরস্কারের বিষয়টি ঘোষণা করা হয়েছে। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত চেচেন নেতা রমজান কাদিরভের স্ত্রী মেদনি কাদিরোভাও রয়েছেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান সামরিক অভিযানে কয়েক হাজার সেনা পাঠিয়েছেন রমজান কাদিরভ। এমনকি প্রয়োজন হলে নিজের কিশোর সন্তানদেরও যুদ্ধে পাঠাবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেক ‘মাদার হেরোইন’ বিজয়ী পাবেন ১০ লাখ রুবল ও একটি স্বর্ণপদক। ‘মাদার হিরোইন’ নামে এক রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের প্রচলন ছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে।
আরও পড়ুন: তরুণীর মুখ থেকে বেরিয়ে এলো ৪ ফুট লম্বা সাপ!
১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এ পুরস্কার প্রবর্তন করেন সাবেক সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্টালিন। এরপর ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ দশক এ পদক চালু ছিল।
দীর্ঘ এ সময়ে বহু নারীকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। প্রায় তিন দশক পর চলতি বছরের আগস্ট মাসে এ পুরস্কার আবারও চালু করে রাশিয়া। ১০ বা তার অধিক সন্তান জন্ম দেয়া প্রত্যেক রুশ নারীকে এ খেতাব দেয়ার ঘোষণা দেন পুতিন।
নিম্ন জন্মহারের কারণে বছরের পর বছর ধরে কমছে রাশিয়ার জনসংখ্যা। দম্পতিদের সন্তান জন্মদানে উৎসাহ দিতেই সোভিয়েত আমলের এই পুরস্কার ফিরিয়ে আনা হয়।
‘মাদার হিরোইন’ পুরস্কার পেতে হলে দশটি সন্তানের জন্ম দিতে হবে একজন রুশ নারীকে। দশম সন্তানের এক বছর বয়স হওয়ার পরই পুরস্কারের টাকা একসাথে ওই মাকে দিয়ে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ইস্তাম্বুলে বিস্ফোরণ: নিহত বেড়ে ৮, গ্রেফতার ৪৬
তবে পুরস্কার পাওয়ার প্রধান শর্ত হচ্ছে – প্রত্যেক সন্তানকে সুস্থ এবং জীবিত থাকতে হবে। অবশ্য কোনো সন্তান যদি সন্ত্রাসী হামলা বা সশস্ত্র সংঘাত ও যুদ্ধে মারা যায়, সেক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হবে। রুশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব বিষয় খতিয়ে দেখার পরই দেয়া হবে ওই ১০ লাখ রুবল যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১৫ লাখ টাকার সমান।
বিশ্বের বৃহত্তম দেশ রাশিয়ার আয়তন ১ কোটি ৭০ লাখ ৯৮ হাজার ৯৪৬ বর্গকিলোমিটার, কিন্তু জনসংখ্যা মাত্র ১৪ কোটি ৬০ লাখ ৬৭ হাজার ১৮৩ জন। মহামারির গত দুই বছরে রাশিয়ায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৩৬২ জনের।
এরপর ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানে অন্তত ১ লাখ রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা যুক্তরাষ্ট্রের। এ ছাড়া ১৯৯০ সালের পর থেকেই রাশিয়ার জনসংখ্যা বাড়ছে না। সবমিলিয়ে ব্যাপক জনবলের সংকটে রয়েছে রাশিয়া। সেই সংকট কাটাতেই রুশ প্রেসিডেন্ট এ পুরস্কার ঘোষণা করেন।
]]>




