১১ বছরেও হয়নি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বাস্তবায়ন
<![CDATA[
স্বাধীনতার সূতিকাগার ঐতিহাসিক মুজিবনগরের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে দাঁড়িয়ে আছে মেহেরপুর জেলা। শহরের নাগরিক সুবিধা ও সৌন্দর্যবর্ধনে অনেক কিছু গড়ে উঠেছে। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থায় পিছিয়ে আছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এ জেলাটি। তাই রেলপথ স্থাপন এখন জেলাবাসীর একমাত্র দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে মুজিবনগর হয়ে মেহেরপুর পর্যন্ত ৫৩ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণের প্রাথমিক সমীক্ষা, সরেজমিন সম্ভাব্যতা যাচাই ও স্টেশন ডিজাইনের কাজ শেষ হলেও রেলপথের জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় গতি পাচ্ছে না প্রকল্প।
দেশের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা মেহেরপুর। কেবল সড়কপথই এ জেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। তাই এতদিন পরও এ জেলায় কোনো শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেনি।
তবে মুজিবনগরের ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণে প্রতিদিনই এ জেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটক-দর্শনার্থীদের ভিড় জমে। সড়কের বেহাল দশার কারণে সড়কপথে মেহেরপুরের মুজিবনগর যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় পর্যটকদের। এ কারণে সরকারের প্রস্তাবিত ও অনুমোদিত প্রকল্প চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থেকে মুজিবনগর মেহেরপুর হয়ে কুষ্টিয়া রেলপথ স্থাপন এখন মেহেরপুর জেলাবাসীর একমাত্র দাবি হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: ১৬ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি মেহেরপুর বিসিক
২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথির ভাষণে মেহেরপুরের মুজিবনগরে রেললাইন স্থাপনের ঘোষণা দেন। এরপর রেললাইন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ২০১১ সালের ২৪ এপ্রিল রেলওয়ের ডিজি টি এ চৌধুরীর নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল মেহেরপুর ও মুজিবনগর পরিদর্শন করে।
সম্প্রতি একনেকের বৈঠকে দর্শনা হয়ে মুজিবনগর পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার এবং মুজিবনগর থেকে মেহেরপুর পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। ৭০০ একর জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দ্রুত রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।
এ অঞ্চলের মানুষের দাবি মুজিবনগর হয়ে মেহেরপুরে রেলপথ স্থাপন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী রেলপথ দ্রুত সময়ের মধ্য স্থাপনের জোর দাবি তাদের।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর মুক্ত দিবস উদযাপন
মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য মেগা প্রকল্পের কাজ যেভাবে দ্রুত সম্পন্ন করছেন, ঠিক তেমনিভাবে আগামী নির্বাচনের আগেই মেহেরপুর-মুজিবনগর রেলপথের কাজ শুরু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান বলেন, দর্শনা থেকে মুজিবনগর হয়ে শহর পর্যন্ত রেলপথের কাজ শুরু হয়েছে। সরেজমিন সম্ভাব্যতা যাচাই ও স্টেশন ডিজাইনের কাজ শেষ হয়েছে। একনেকে অনুমোদন হলেই দ্রুত লাইন নির্মাণকাজ শুরু হবে।
এই বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, মেহেরপুরে রেলপথ নির্মাণের জন্য ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ফিজিবিলিটি টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। রাস্তা ও কালভার্ট নির্মাণসহ বাকি কাজ দ্রুত শেষ করা হবে।
]]>