শিক্ষা
১২ ক্যাডেট কলেজে পাসের হার কত?
চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় বাংলাদেশের ক্যাডেট কলেজসমূহ ঈর্ষণীয় ফলাফল অর্জন করেছে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ১২টি ক্যাডেট কলেজে পাসের হার শতভাগ। এছাড়া সর্বমোট ৬০০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৯৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
রোববার (১২ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ১২টি ক্যাডেট কলেজ থেকে সর্বমোট ৬০০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৯৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাসের হার শতভাগ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৯.৬৭ শতাংশ শিক্ষার্থী। ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ১২টি ক্যাডেট কলেজের জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার ছিল ৯৯.৮৩ শতাংশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের ক্যাডেট কলেজগুলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল ও সভাপতি, ক্যাডেট কলেজ পরিচালনা পরিষদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শুধু ভালো ফলাফল অর্জনই নয়, বরং চৌকস ও সুনাগরিক হিসেবে ক্যাডেটদের গড়ে তোলাই ক্যাডেট কলেজগুলোর লক্ষ্য। এজন্য ক্যাডেটদের দৈনন্দিন কার্যক্রমে লেখাপড়ার পাশাপাশি চরিত্র গঠন ও সহশিক্ষা কার্যক্রমকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। কলেজ থেকে শিক্ষা লাভের পর ক্যাডেটরা যেন বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছাতে পারে সেই লক্ষ্যে কলেজগুলোতে নতুন নতুন শিক্ষা ও সহশিক্ষা কার্যক্রম সংযুক্ত হচ্ছে।
ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেটদের ধারাবাহিক সাফল্যের পেছনে রয়েছে ক্যাডেট কলেজের আভ্যন্তরীণ সুশৃঙ্খল পরিবেশ, অভিজ্ঞ অনুষদ সদস্যদের সার্বক্ষণিক পরিচর্যা ও তদারকি, ক্যাডেটদের অধ্যবসায়, নিয়মিত পড়াশোনা এবং আন্তরিক প্রচেষ্টা। ক্যাডেট কলেজ পরিচালনা পরিষদের সুষ্ঠু দিকনির্দেশনা, ক্যাডেট কলেজগুলোর অভিজ্ঞ ও যোগ্যতাসম্পন্ন অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, অনুষদ সদস্যরা, কর্মকর্তা এবং কলেজে কর্মরত সব শ্রেণির ব্যক্তিদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সম্মানিত অভিভাবকদের সহযোগিতায় এ সাফল্যজনক ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়েছে।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ।
প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯২ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, সিলেটে ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ময়মনসিংহ ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও যশোরে ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।
এবার মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিল ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছে মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।