১৪ দল ছাড়ল জাসদের একাংশ
<![CDATA[
দীর্ঘ ১৭ বছর পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে গেল জাসদের একাংশ (শরীফ নুরুল আম্বিয়া)। ১৪ দলের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ও আওয়ামী লীগের অধীনস্থ সংগঠনে রূপান্তর হওয়ায় শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ১৪ দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন দলটির সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট ছাড়ার ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ১৪ দলীয় জোট এখন ভাইরাস প্ল্যাটফর্ম। ওখানে সব দল এখন আওয়ামী লীগের কাজ করে। ১৪ দলের শরিক অন্য দলকেও ওখান থেকে সরে এসে গণতন্ত্রের পথে ন্যায়সংগত সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
আম্বিয়া বলেন, ২০০৫ সালে ২৩ দফার ভিত্তিতে আদর্শিক ১৪ দলীয় জোট গঠন হয়েছিল। এখন জোট নেতৃত্বাধীন দল যে কোনোভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায়। এখানে আদর্শ নেই। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এখন দুর্বৃত্ত ও তাদের চাটুকাররা নিয়ন্ত্রণ করে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি লাশ নিয়ে অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে: সেতুমন্ত্রী
জাসদ সভাপতি বলেন, ২০১৮ সালের কায়দায় নির্বাচন করার ইচ্ছা ক্ষমতাসীনদের পরিত্যাগ করতে হবে। কিছু দালাল, চাটুকার ও সুযোগসন্ধানী হয়তো ওঁৎ পেতে আছে এমন নির্বাচনে যাওয়ার জন্য। তাতে কোনো লাভ নেই। এমন নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। ক্ষমতাসীনরা যদি নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতায় তা করতে চায় তবে তা হলে অতীত বাকশাল গঠনের চাইতেও খারাপ সিদ্ধান্ত।
এ সময় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, মেনন ভাই মাঝে মাঝে গরম কথা বলেন। কিন্তু পরে আবার ঘরের ভেতর গিয়েই বসে থাকেন।
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সৃষ্ট সংকটের স্থায়ী সমাধান হিসেবে জাতীয় সংসদকে দুই কক্ষ করার প্রস্তাব দেন তিনি। আম্বিয়া বলেন, এই জন্য আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমাধানই উচিত হবে। সময় থাকতেই সরকারপক্ষের তা করা উচিত। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য তারাই দায়ী। গণতন্ত্র সচল করতে আরও অনেক সংস্কার রয়েছে।
এ সময় তিনি জোটের অন্য শরিকদলগুলোকেও জোট ছাড়ার আহ্বান জানান।
২০০৫ সালে ২৩ দফার ভিত্তিতে ১৪ দলীয় জোট গঠিত হয়।
]]>