১৬ বছর পর ফিরলেন, তবে লাশ হয়ে!
<![CDATA[
১৬ বছর আগে অভিমানে ঘর ছাড়েন জয়পুরহাটের আতাউর রহমান বুলবুল (৫০)। অভিমান না ভাঙলেও অবশেষে তাকে ফিরতে হচ্ছে বাড়িতে। তবে জীবিত নয়, ফিরছেন লাশ হয়ে।
বুলবুল জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের আবদুস সাত্তার মাস্টারের ছেলে।
২০০৬ সালে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে জয়পুরহাট থেকে ফেনীতে আসার পর বুলবুলের নাম পরিচয় না মিললেও মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সূত্র ধরেই পরিচয় মিলেছে তার।
বুলবুলের ভাই রেজাউল করিম রিপন জানিয়েছে, তার ভাই বুলবুল ১৯৮৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করার পর মানসিক সমস্যাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। অভিমানে ২০০৬ সালে বাবা মাস্টার আবদুস সাত্তারের মৃত্যুর পর হঠাৎ বুলবুল নিখোঁজ হন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে অভিমানী ছেলেকে বাঁচালেন বাবা
রিপন আরও বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর পর আমরা বুলবুলের ফেনীতে থাকার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে নিয়ে আসতে যাই। কিন্তু তাকে অনেক জোরজবরদস্তি করেও আনতে পারিনি। এরপর থেকে যাতায়াতের দূরত্বের কারণে বছরের পর বছর তার খবরাখবর আমরা আর পাইনি।’
দীর্ঘ বছর ফেনী শহরে তার চলাফেরা হলেও কখনও কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত করেননি বুলবুল। নিজের মতো করেই থাকতেন। রাস্তা-ঘাট, রেলপথ, বাসস্ট্যান্ডসহ ফেনী শহরের সব জায়গায় ছিল বুলবুলের পাদচারণা খাওয়া-দাওয়ায় অনাগ্রহী এ ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয়নি এমন ব্যক্তি ফেনীর বাসিন্দাদের মাঝে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: অভিমানে নিজেকে শেষ করে দিল কবিতা
বুলবুল বেশ কিছু দিন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে অজ্ঞাত হিসেবে চিকিৎসাধীন থেকে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে মারা যান।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায়’র তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাকালীন মারা যাওয়ার পর বুলবুলের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিলে পরিচয় মেলে তার।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ফেনী জেলা সদর হাসপাতাল চত্বরে প্রথম জানাজা শেষে বুলবুলের ছোটভাই স্থানীয় বড়াইল ইউপি সদস্য মশিউর রহমান লেবু তার মরদেহ নিয়ে গেছেন। তার মরদেহ ফেনী থেকে জয়পুরহাটে নিয়ে তার মা, বাবার কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হবে ভাই লেবু জানান।
]]>