বিনোদন

৩,২০০ মেগাপিক্সেলের ছবি তুলবে যে ডিজিটাল ক্যামেরা

<![CDATA[

একটা সময় ক্যামেরা মানেই ছিল লোভনীয়, ব্যয়বহুল ও সৌখিন এক বস্তু। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যা শোভা পেতো অভিজাত শ্রেণির হাতে। তবে সেই যুগ এখন বদলে গেছে। স্মার্টফোনের বদৌলতে ক্যামেরা এখন সবার হাতে হাতে। প্রযুক্তির কল্যাণে ক্যামেরায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তনও। তবে, সম্প্রতি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তৈরি করছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল ক্যামেরা। যার কাজ প্রায় শেষের পথে। দর্শক, আলোচিত এই ডিজিটাল ক্যামেরা কেমন? ক্যামেরায় কার্যক্ষমতাই বা কতোটুকু?

৩২০০ মেগাপিক্সেলের একটি ডিজিটাল ক্যামেরা তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ এসএলএসি ন্যাশনাল এক্সিলারেটর ল্যাবরেটরি’র (SLAC National Accelerator Laboratory) বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষণাগারে তৈরি সেই ক্যামেরাটির ছবি ও তথ্য প্রকাশ করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডিজিটাল ক্যামেরা। যার নাম, ‘এলএসএসটি’।

বিজ্ঞানীদের দাবি, ক্যামেরাটি এতটাই শক্তিশালী যে, প্রায় ২৪ কিলোমিটার দূর থেকে একটি গল্ফ বলকেও ৪ চাকার গাড়ির মতো বড় দেখাবে। ক্যামেরাটি চালু করা না হলেও এর যাবতীয় সব যন্ত্রপাতি লাগানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। ২ হাজার ৮০০ কেজি ওজনের এই ক্যামেরাটিতে আছে ১৮৯ টি সেন্সর। এর উচ্চতা ৫.৫ ফুট। এছাড়া ক্যামেরার আকৃতি মোটামুটি একটি ‘এসইউভি’ (SUV) গাড়ির সমান। এই ক্যামেরায় ২৬৬টি আইফোনের সমান পিক্সেল রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ মুসলিমরাই কেন ব্রিটিশদের প্রথম র্টাগেট?

জানা গেছে, ক্যামেরাটি আগামী ১০ বছরে ৩ হাজার ৭০০ কোটি সংখ্যক গ্যালাক্সি এবং নক্ষত্রের ওপর নজর রাখবে। প্রতি ২০ সেকেন্ডে একটি করে ছবি তুলবে এই ক্যামেরা। ফলে এক রাতের মধ্যেই জমা হবে প্রায় ২০ হাজার গিগাবাইটের মতো তথ্য! সেই হিসাবে এক বছরে এটি দুই লাখের মতো ছবি তুলতে পারবে।

এদিকে ২০২৪ সালে চিলির কেরো প্যাঁচো পাহাড়ের ওপর, রুবিন মানমন্দিরে বসানো হবে ক্যামেরাটি। তবে চলতি বছরের শেষে পরীক্ষামূলকভাবে ক্যামেরাটিতে ছবি তোলা হবে। এছাড়াও রুবিন মানমন্দির কর্তৃপক্ষের এই ক্যামেরা দিয়ে মহাকাশের ওপর একটি তথ্যচিত্র বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ যেসব শাসকের ভয়ে গোটা বিশ্ব কাঁপত

আকাশের ৩.৫ ডিগ্রিজুড়ে ছবি তুলতে পারবে ‘LSST’ নামের ক্যামেরাটি। এর ‘ফিল্ড অব ভিউ’ (Field of view) যে কত বড়, একটা উদাহরণ দিলে তা বোঝা যাবে। সূর্য ও চাঁদকে পৃথিবী থেকে ০.৫ ডিগ্রিজুড়ে দেখা যায়। আর মোটামুটি সাধারণ টেলিস্কোপগুলোর ‘ফিল্ড অব ভিউ’ হয় মাত্র ১ ডিগ্রি। এত বিশাল ‘ফিল্ড অব ভিউ’র ছবি যে বিজ্ঞানীদের দারুণ কাজে আসবে, তা কি আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন আছে?

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!