বাংলাদেশ

৪৩ কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি নির্মাণ নিয়ে যা বললেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব

<![CDATA[

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বাড়ি যাতে এয়ারমার্কড (নির্দিষ্ট করা) করে দেয়া হয়, সেই কথাই বলা হয়েছিল বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই জনপ্রশাসনের শীর্ষ দুই পদের জন্য ৪৩ কোটি বাড়ি নির্মাণ করার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এমন কথা বলেন। সোমবার (৩১ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গণপূর্ত অধিদফতরের (পিডব্লিউডি) বক্তব্য হলো—আস্তে আস্তে মিন্টো রোডের বাড়িগুলো ডিমোলিশড (ভেঙে ফেলা) করে দেয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এগুলো খুবই পুরনো বাড়ি। এগুলো মুখ্যসচিব ও মন্ত্রিসচিবের বাড়ির বিষয় না, সব বাড়িগুলো আস্তে আস্তে ভেঙে ফেলা হবে।

তিনি জানান, সংসদ উপনেতার বাড়ি এরমধ্যে ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। কারণ এগুলো সেই ১৯৪০, ১৯৪৫ সালের বাড়ি। বাড়িগুলো একটা একটা করে সব নতুন করে তৈরি করা হবে। এটা নতুন বাড়ি করা বলার চেয়ে প্রধানত সেই জায়গাটায় জোর দেয়া উচিত ছিল।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যেহেতু মুখ্যসচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বাসায় অফিস আছে, সেহেতু তাদের বাসাটা যাতে এয়ারমার্কড করে দেয়া হয়। আর এটি ছিল একটি প্রাথমিক বিষয়, এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু আসেওনি। আর কোনো ধরনের সুইমিং পুলের কথা পরিষ্কার করে নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যদি সুইমিং পুল করতেই হয়, তাহলে ওখানে কয়েশ বাড়িূঘর আছে, তাদের জন্য একটি সুইমিং পুল করা যায় কিনা।

সুইমিং পুল তো রক্ষণাবেক্ষণ করা খুবই কঠিন বলে মন্তব্য করেন তিনি। সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাড়িতে বাড়িতে সুইমিং পুল করে রক্ষণাবেক্ষণ করা যাবে না। ওখানে যে ৫০০-৬০০ কর্মকর্তা আছেন, তাদের সবার জন্য কমন (অভিন্ন) কোনো সুইমিং পুল নির্মাণ করা যায় কিনা; সেটা বিবেচনার করার কথা বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সেখানে যাদের অ্যালটমেন্ট(বাড়ি বরাদ্দ) আছে, তারা ও তাদের সন্তানরা ওখানে সাঁতার কাটার সুযোগ পাবেন। কারণ অফিসার্স কোয়ার্টারসে তো বাইরের লোক আসতে পারবেন না।

তিনি জানান, আর এটা আলোচনায় আসছে তিন-চার বছর আগে। আর তা নির্দিষ্ট করে কারও বাড়ি করার জন্য না। এমনকি ইস্কাটন গার্ডেন অফিসার্স কোয়ার্টারে যে ছয়টি বড় ভবন আছে, এগুলো ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এগুলো সেই ১৯৫০ সালের সময়ের বাড়ি। আসলে সবগুলোই আসলে নতুন করে নির্মাণ করতে হবে।

এরআগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের জন্য ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বাসভবন নির্মাণ করার প্রকল্প গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটির ব্যয় ৫০ কোটি টাকার নিচে হওয়ায় পরিকল্পনামন্ত্রী নিজ ক্ষমতাবলে এটি অনুমোদন করতে পারবেন।

প্রকল্পের পরিকল্পনা অনুসারে, প্রতিটি ভবন হবে তিন তলা, সাড়ে ১৮ হাজার বর্গফুটের। প্রতিটি ভবন নির্মাণে ব্যয় হবে সাড়ে ২১ কোটি টাকা করে। এর মধ্যে প্রতিটি বাসভবনে দুই সেট সুইমিং পুল হবে। এতে খরচ ধরা হয়েছে ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা।

 

 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!