৫ দশক আগেই বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব জানতে পেরেছিল অ্যাক্সনমবিল
<![CDATA[
বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম জ্বালানি প্রতিষ্ঠান অ্যাক্সনমবিলের বিজ্ঞানীরা অন্তত ৫ দশক আগেই জানতে পেরেছিলেন, আগামী দিনে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলাফল কী হতে যাচ্ছে। জীবাশ্ম জ্বালানি কীভাবে জলবায়ুকে বদলে দেবে তাও নির্ভুলভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তারা।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন নিউজের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ১৯৭০- এর দশকের শেষ দিকে এবং ১৯৮০- এর দশকের শুরুর দিকেই অ্যাক্সনমবিলের বিজ্ঞানীরা এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি বিজ্ঞানীদের কথা আমলে না নিয়ে বছরের পর বছর জলবায়ু বিজ্ঞানের ওপর সন্দেহ প্রকাশ করে। বিশ্বজুড়ে জীবাশ্ম জ্বালানির পক্ষে ওকালতি করে।
অ্যাক্সনমবিলের বিজ্ঞানীরা ১৯৭৭ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর জলবায়ু পরিবর্তনের ধারা কেমন হবে তাও ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম তেল-গ্যাস কোম্পানিটির বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ মেয়াদে তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয়টির অনুমান করেছিলেন। একইসঙ্গে, মানুষের আচরণের কারণে ঠিক কোন সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব স্পষ্ট হতে শুরু করবে তাও নির্ভুলভাবে অনুমান করেছিলেন।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর জন্য সুখবর দিলেন বিজ্ঞানীরা
বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল সায়েন্সে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাক্সনমবিলের কাছ থেকে ফাঁস হওয়া বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ গোপনীয় নথিপত্র বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে সাংবাদিক এবং গবেষকেরা যাচাই বাছাই করেছেন। সেখানে তারা দেখতে পেয়েছেন, অ্যাক্সনমবিল আগে থেকেই জীবাশ্ম জ্বালানির সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলাফল সম্পর্কে অবগত ছিল।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জিওফ্রে সুপ্রান বলেছেন, ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১৪ সাল অবধি অ্যাক্সনমবিল শতাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে বৈশ্বিক ঊষ্ণায়ন নিয়ে করা অন্তত ৬৩ থেকে ৮৩ শতাংশ অনুমান নির্ভুলভাবে মিলে গেছে। প্রতিবেদনে প্রতি দশকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা অন্তত দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল।
তবে প্রতিষ্ঠনাটি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক উষ্ণতার বিষয়ে আগে থেকে জানলেও তা আমলে নেয়নি। বরং ক্রমেই জীবাশ্ম জ্বালানি খাত থেকে মুনাফা বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। এমনকি প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সালেই ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মুনাফা করেছে।
]]>




