৬৪ জেলায় দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি কর্মসূচি শেষ করলেন হানিফ
<![CDATA[
দুর্নীতি-দুঃশাসন, অর্থ পাচার ও নৈতিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে দেশের ৬৪ জন জেলা প্রশাসক ও ৪৯৫ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ করেছেন হানিফ বাংলাদেশি।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হেল্প ডেস্কে স্মারকলিপি দিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন তিনি। এ সময় ঘুষ, দুর্নীতি ও নৈতিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগানসহ গলায় ফেস্টুন ও হাতে বদলে যাও, বদলে দাও স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
গত বছর ৫ জুন হানিফ বাংলাদেশি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি দেয়ার মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেন। প্রতিদিন ৩টি উপজেলা প্রদক্ষিণ করে দীর্ঘ ৮ মাস তথা ১৬০ দিনে ৪৯৫ উপজেলা প্রদক্ষিণ করে বুধবার পঞ্চগড়ে এসে কর্মসূচি সমাপ্ত করেন।
আরও পড়ুন: ৬৪ দিন হেঁটে ৬৪ জেলা ভ্রমণ রাজবাড়ীর ইউসুফের
হানিফ বাংলাদেশির প্রকৃত নাম মোহাম্মদ হানিফ। তিনি দেশব্যাপী হানিফ বাংলাদেশি নামে পরিচিত। তার বাড়ি নোয়াখালী সদর উপজেলার মাইজদী গ্রামে। তিনি ওই এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে।
হানিফ বাংলাদেশি তার স্মারকলিপিতে বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ, পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে এনে যুবকদের জন্য সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করাসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেছেন।
হানিফ বাংলাদেশি বলেন, ‘ঘুষ-দুনীতি, অর্থ পাচার সর্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে সমাজ রাষ্ট্র ব্যবস্থার সর্বক্ষেত্রে। চরম অবক্ষয় চলছে সামাজিক, পারিবারিক এবং মানবিক মূল্যবোধের।’
‘আমাদের দেশের কৃষকরা উৎপাদনশীল, শ্রমিকরা পরিশ্রমী, ছাত্র-যুবকরা মেধাবী। কিন্তু দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি, দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ ও সরকারি আমলা, বড় বড় ব্যবসায়ী দেশ থেকে লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে আমাদের সব অর্জনকে ব্যাহত করছে।’
আরও পড়ুন: হেঁটে ৭৫ দিনে ৬৪ জেলা ভ্রমণ করলেন শান্ত
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু মানবিক মূল্যবোধের উন্নতি হচ্ছে না। আশা করি সম্ভাবনাময় এই অগ্রযাত্রা এগিয়ে নিতে এবং চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ঘুষ, দুর্নীতি ও অর্থ পাচার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কর্তারা।’
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের মার্চে হানিফ ভোটাধিকারের দাবিতে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ায় একক পদযাত্রা করেন। একই বছর নির্বাচন কমিশন অফিসে পচা আপেল দিয়ে প্রতিবাদ জানান। এরপর তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে ৬৪ জেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেয়ার কর্মসূচি পালন এবং জেলায় জেলায় লাল কার্ড প্রদর্শন করেন। ২০২০ সালে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে প্রতীকী লাশ নিয়ে পদযাত্রাও করেন তিনি।
]]>