<![CDATA[
‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে’র ৯২ বছরের ইতিহাসে প্রথবার উদ্বোধনী ম্যাচে হারল স্বাগতিক কোনো দেশ। ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসরের প্রথম ম্যাচ কাতারকে হারিয়ে জয় তুলে নিল ইকুয়েডর। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিকে তারা হারিয়েছে ২-০ গোলের ব্যবধানে।
আল-বায়ত স্টেডিয়ামে রোববার (২০ নভেম্বর) আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ইকুয়েডরের হয়ে জোড়া গোল করেন এনার ভ্যালেন্সিয়া। অন্যদিকে একাধিক সুযোগ পেয়েও দলকে গোল উপহার দিতে পারেননি কাতারের ফরোয়ার্ডরা।
কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শুরু থেকেই ছিল অনেক বিতর্ক। পশ্চিমাদের সকল সমালোচনা উড়িয়ে দিয়ে অবশ্য তারা সফল আয়োজনের সকল প্রস্তুতি শেষ করে নেয়। কিন্তু খেলা মাঠে গড়ানোর মাত্র তিন দিন আগেই কাতারকে নিয়ে আসে গুরুতর অভিযোগ। ম্যাচ হারার জন্য ইকুয়েডরের আট ফুটবলারকে তারা ৭.৪ মিলিয়ন ডলার ঘুষ দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন সৌদি আরবে ব্রিটিশ কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক ও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ আমজাদ তাহা। তবে সেসব গুজব উড়িয়ে দিয়ে কাতারকে হারিয়ে জয়ে নিজেদের আসর রাঙিয়েছে ইকুয়েডর।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে ভলান্টিয়ারশিপে রাজত্ব বাংলাদেশের
লাতিন আমেরিকার দেশটি শুধু জয়-ই পায়নি, পাল্টে দিয়েছে ফিফা বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাস। ১৯৩০ থেকে চলে আসা ফুটবলের এ বিশ্বপ্রতিযোগিতার আগের ২১ আসরে হারেনি স্বাগতিক কোনো দেশ। ১৫ জয়ের বিপরীতে বাকি ৬ ম্যাচ ড্র করেছিল স্বাগতিক দেশগুলো। কিন্তু এবারই প্রথম স্বাগতিক দেশ হয়েও হারের মুখ দেখল কাতার।
আল-বায়ত স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য দেখিয়েছে ইকুয়েডর। মাত্র ম্যাচের ৫ মিনিটের মাথায় কাতারের জালে বল জড়ান ভ্যালেন্সিয়া। অবশ্য ভিআর চেকে অফসাইড ধরা পড়লে বাতিল হয়ে যায় সেই গোলটি। কিন্তু সফল হতে তাদের খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। তারা প্রথম সফল গোলের দেখা পায় ১৬ মিনিটে। প্রতি আক্রমণে ওঠা ভ্যালেন্সিয়াকে বাধা দিতে গিয়ে ফাউল করে বসেন কাতারের দুই ডিফেন্ডার। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান ম্যাচ রেফারি। সেখান থেকে সফল স্পটকিকে জালভেদ করেন ভ্যালেন্সিয়া।
আরও পড়ুন: এক নজরে বিশ্বকাপ ইতিহাসের বিতর্কিত ৫ মুহূর্ত
১৫ মিনিট পর তিনি আবার গোল উৎসবে মাতান ইকুয়েডরকে। ম্যাচের ৩১ মিনিটে অ্যাঞ্জেলো প্রিসিয়াডোর ভাসিয়ে দেয়া বলে লাফিয়ে উঠে মাথা ছোঁয়ান ভ্যালেন্সিয়া। কাতার গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি। প্রথমার্ধে দুই গোলের ম্যাচে একপেশে মঞ্চায়নই দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। ৪৫ মিনিটে একটি অন-টার্গেট শটও নিতে পারেনি স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কিছুটা নিষ্প্রভ ছিল ইকুয়েডর। সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি কাতারের ফরোয়ার্ডরা। অন্যদিকে ৫৩ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা লাতিন আমেরিকার দেশটি ম্যাচের শেষার্ধে অন টার্গেটে শট নিয়েও গোলের দেখা পায়নি। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয়েই সন্তুষ্ঠ থাকতে হয় ইকুয়েডরকে।
]]>
