আ.লীগ-স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুর
<![CDATA[
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি গাড়ির পিছনের গ্লাস ভাঙচুর করা হয়।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে খোকসা পৌরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খোকসা থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান।
তিনি বলেন, বিকেলে ঘোড়া এবং নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। রাতে উভয়পক্ষ পুনরায় সংঘর্ষে জড়ানোর পায়তারা করে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এতে নিজ কার্যালয়ে যাওয়ার পথে পৌরবাজার এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি গাড়ির পিছনের গ্লাস ভেঙে দিয়েছে অজ্ঞাতনামারা। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
তবে রাতে পাল্টা ধাওয়া ও ইট নিক্ষেপের ঘটনা অস্বীকার করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোতাহার হোসেন খোকন। তিনি বলেন, সন্ধ্যায় জানিপুর ইউনিয়নের একতারপুর হোটেলমোড়ে বাবুল আখতারের সমর্থক ও জানিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সাবেক চেয়ারম্যানের ভাইকে হাতুড়িপেটা করেন। হয়তো সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন বাবুল আখতারের লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে এ ঘটনা ঘটাতে পারে। আমি বা আমার লোকজন ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত নই।
আরও পড়ুন: নাটোরে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ৬
এ বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বাবুল আক্তারকে মোবাইল ফোনে কল দেয়া হয়। কিন্তু তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মাছুম মুর্শেদ শান্ত বলেন, রাতে নৌকা প্রার্থীর অফিস এলাকায় লোকজনের জমায়েত ও অবরুদ্ধ করার খবর শুনেছিলাম। আমি এবং আমার লোকজন আমার কার্যালয়ে ছিলাম। সেখানে কি হয়েছে তা জানি না।
খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিপন বিশ্বাস বলেন, দুপক্ষের উত্তেজনা ঠাণ্ডা করে ফিরছিলাম। ফেরার পথে বাবুল আক্তার ও শান্ত সাহেবের অফিসের মাঝামাঝি এলাকায় পৌঁছালে সরকারি গাড়ির পিছনে ইট লাগে। এতে পিছনের গ্লাস ভেঙে যায়। এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ভাঙা গাড়িটি বর্তমানে থানায় রয়েছে।
]]>