আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তকমা দিতে কাজ করছে ইইউ-জার্মানি
<![CDATA[
ইরানের প্রভাবশালী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডসকে (আইআরজিসি) ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্তি করা হবে কি না, তা নিয়ে পরীক্ষা করছে জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
রোববার (৩০ অক্টোবর) জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবক সংবাদমাধ্যম এআরডিকে এ তথ্য দিয়েছেন। এ সময় অ্যানালেনা বেয়ারবক বলেছেন, ‘আমি গত সপ্তাহে স্পষ্ট করেছিলাম, আমরা আরও একটি নিষেধাজ্ঞা দেব। এখন কীভাবে বিপ্লবী গার্ডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে পারি তাও পরীক্ষা করছি।’
পুলিশি হেফাজতে মাহসা আমিনি নামে এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় এখনও উত্তপ্ত ইরান। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে রাস্তায় নামছে সাধারণ মানুষ, প্রায়ই সংঘর্ষে জড়াচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে হতাহতের সংখ্যাও।
এদিকে দেশজুড়ে চলমান সহিংস বিক্ষোভ বন্ধে সরাসরি হুমকি দিয়েছেন ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান হোসেন সালামি। সহিংসতা বন্ধ না হলে নিরাপত্তা বাহিনী আরও কঠোর হতে বাধ্য হবে বলে সাবধান করেছেন আইআরজিসি প্রধান।
আরও পড়ুন: ‘ইউক্রেনের যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি ড্রোন রাশিয়াকে দিয়েছে ইরান’
শনিবার (২৯ অক্টোবর) ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় সিরাজ শহরে একটি সমাবেশে অংশ নেন হোসেন সালামি। চলমান সহিংস বিক্ষোভকে ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ বলে আখ্যা দেন তিনি। তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় সাধারণ মানুষকে উসকানি দেয়া বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইসরাইল ও সৌদি আরবের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর প্রধান।
অবিলম্বে ইরানজুড়ে আন্দোলন বন্ধ না করলে নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর হতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তরুণদের আবারও বলতে চাই, আপনারা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। দ্রুত এই সহিংস আন্দোলন বন্ধ করুন। ইরানের রাস্তায় আর কোনো বিক্ষোভ হতে দেয়া যাবে না।’
]]>




