খেলা

সবুজের মাঝে চোখজুড়ানো নান্দনিক মসজিদ

<![CDATA[

সবুজের মাঠে এক টুকরো নান্দনিক মসজিদ, পথচারীদের আকৃষ্ট করছে মসজিদটির সৌন্দর্য। এমনি এক অপরূপ সৌন্দর্যের ছোট্ট মসজিদের দেখা মিলবে দিনাজপুরের হিলিতে সীমান্ত ঘেঁষা প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

জেলা সদর থেকে ৭০ কিলোমিটার উত্তরে বিরামপুর উপজেলার জোতবানি ইউনিয়নের সবুজে ঘেরা মাঠের মাঝে এক বিশাল বট বৃক্ষের পাশে নান্দনিক এই মসজিদটির অবস্থান। প্রতিদিনই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা পথচারী ও বিভিন্ন জায়গায় থেকে আসা মানুষ মসজিদটি দেখে কৌতূহলী হয়ে নামাজ পড়েন এই মসজিদে। মসজিদটির পাশেই  রয়েছে  এতিমখানা, দেখতে আসা মানুষ স্মৃতি জড়িয়ে ধরে রাখতে তুলছেন ছবি, কেউ আবার পড়ছেন নামাজ।

সীমান্তবর্তী এলাকার জোতবানি এলাকায় গিয়ে চোখে পড়ল রাস্তার পাশে শতবর্ষী একটি বটগাছের পাশে এক নান্দনিক মসজিদ। মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অধিকাংশ পথচারী মসজিদটি দেখার জন্য থামছেন। আবার কেউ নিজের কাছে স্মৃতি হিসেবে রাখতে মোবাইল দিয়ে ছবি তুলছেন।

কথা হয় আকাশ, বাতেন, সুমনসহ কয়েকজন দর্শনার্থীর সঙ্গে। জানতে চাইলে তারা বলেন, প্রতিনিয়ত এই পথ দিয়ে তারা যাতায়াত করে থাকেন। যখনই এ পথ দিয়ে যান তখনি এ মসজিদটি দেখে মন জুড়িয়ে যায়। আবার অনেকেই নামাজের উদ্দেশে ও মসজিদে আসেন।

দিনাজপুর থেকে আসা আব্দুস সালাম ও করিম জানান, তারা এসেছিলেন সীমান্ত এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে। শুনেছেন এখানে একটি নান্দনিক মসজিদ আছে। তারাও মসজিদে এসেছেন নামাজ আদায় করার জন্য।

আরও পড়ুন: সাগরে ভাসমান বিশ্বের প্রথম মসজিদ

মসজিদের পাশে আছে এতিমখানা সেখানে রয়েছে ৬০ জন এতিম ছাত্র। এতিম খানার ছাত্র ও শিক্ষকরা জানান, এতিমখানার বয়স প্রায় দেড় যুগ। ছাত্ররা নামাজ পড়ার জন্য যেতে হতো বাজারে বা অন্য কোনো দূরের মসজিদে। অনেক সময় নামাজ পড়তে হতো ঘরের ভিতরে। সেক্ষেত্রে একটু কষ্ট হতো।

এতিমখানা ও এলাকার মানুষের নামাজের ব্যবস্থার করার জন্য ও বাবার ইচ্ছে পূরণে এই মসজিদটি নির্মাণ করেছেন স্থানীয় যুবক কামরুজ্জামান।

মসজিদ  নির্মাণের বিষয়ে কামরুজ্জামান বলেন, বাবা স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। বাবা আজকে দুনিয়াতে বেছে নেই। তবে বেঁচে থাকা অবস্থায় বাবার ইচ্ছে ছিল একটি মসজিদ নির্মাণ করবেন। বাবা ক্যান্সার রোগে মারা যাওয়ার সময় নসিয়ত করে গেছেন তাই বাবার ইচ্ছা পূরণ করতেই গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় এই মসজিদে নির্মাণ করা হয়েছে।

কামরুল ইসলাম আরও বলেন,  ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই মসজিদ যেন এলাকায় ছড়াচ্ছে ইসলামের আলো। এমন মসজিদ দেখতে বা নামাজ আদায় করতে প্রতিদিনই আসছেন স্থানীয়সহ দূর-দূরান্তের মানুষ।

 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!