বিনোদন

কুমিল্লায় পরিকল্পিত খুন, লাশ ফেলা হয় ফেনী

<![CDATA[

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়ার কসকা এলাকার একটি ঝোপ থেকে খালেক নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের তিনদিনের মাথায় হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকারী নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে সোমবার (৭ নভেম্বর) আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে ফেনী মডেল থানায় এ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, ওই লাশের পরিচয় শনাক্ত ও জড়িত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গেছে এ খুন হয়েছে কুমিল্লায়। তবে লাশ ফেলা হয় ফেনীতে। পরে সূত্রহীন মামলাটি রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, নওগাঁ জেলার বাসিন্দা আবদুল খালেক পেশায় পিকআপ চালক। একই জেলার বাসিন্দা শরীফুল ইসলাম নামে এক যুবক গত কয়েকমাস ধরে তার সহকারী হিসেবে কাজ করে। গত ২৫ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুর থেকে গার্মেন্টসের যন্ত্রপাতি নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা। পথিমধ্যে হাতিরঝিল থেকে দুলাভাই পরিচয় দিয়ে ফিরোজ নামে এক ব্যক্তিকে গাড়িতে তোলেন শরীফ। মেঘনা টোলপ্লাজার আগে বিরতির সময় একটি দোকানে চা খাওয়া অবস্থায় আরও দুইজন পিকআপের পেছনে ত্রিপলের নিচে ঢুকে পড়ে। সেখানে একটি ড্রিংকসের মধ্যে চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে দেয় গাড়িচালক খালেককে। খালেক অচেতন হয়ে পড়লে শরীফ পিকআপ চালাতে থাকে। পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে শরীফ ও গাড়ির পেছনে থাকা দুইজন খালেককে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। এরপর ফেনীর লেমুয়ার কসকা এলাকায় নির্জন স্থানে ঝোঁপের মধ্যে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ফেলে যায়।

আরও পড়ুন : প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে ছুরিকাঘাত

এই ঘটনার পর পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে গাড়ির হেলপার শরীফকে আটক করে। তার জবানবন্দিতে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা হয়। গ্রেফতার শরীফুল ইসলাম সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে ঘটনার আদ্যোপান্ত তুলে ধরে জড়িত অন্যদের নামও প্রকাশ করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনীর বোগদাদিয়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মোক্তার হোসেন জানান, কসকা থেকে পিকআপটি ইউটার্ন করে ঢাকার দিকে চলে যায় হত্যাকারীরা। কুমিল্লা বিশ্বরোড পৌঁছালে শরীফ নেমে যায়। অপর দুইজন পিকআপটি নিয়ে ঢাকার গাবতলী গেলে সেখানকার কর্তব্যরত পুলিশ সিগন্যাল দিয়ে থামায়। এরপর তারা বাসা থেকে কাগজপত্র আনার কথা বলে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় শরীফ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় খালেকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেয়। বিষয়টি জানাজানির পর শরীফকে গ্রেফতার করা হলে ঘটনার পুরো রহস্য বেরিয়ে আসে। তার দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই ছাড়াও জড়িতদের অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এসআই। 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!