রামেকের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল
<![CDATA[
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী জি এম শাহরিয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি।
বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে রামেকের পরিচালকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কমিটির প্রধান নিউরো মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. কফিল উদ্দিন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহত শাহরিয়ারের চিকিৎসায় কোনো গাফিলতি খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি। মৃত্যুর পরই তাকে রামেক হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াদজানী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: নিহত রাবি শিক্ষার্থী শাহরিয়ারকে ছাত্রলীগ কর্মী দাবি
তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এতে তারা চিকিৎসায় কোনো গাফিলতি খুঁজে পাননি। কমিটি তদন্তে নিশ্চিত হয়েছে যে, ওই ছাত্র আগেই মারা গিয়েছিল। এরপর তাকে রামেক হাসপাতালে আনা হয়েছে। রামেকে আনার পর করা ইসিজি রিপোর্টও তারা সংগ্রহ করেছেন, সেখানে কোনো সংকেত তারা পাননি। অর্থাৎ সে মৃত ছিল।
ইয়াদজানী বলেন, রাবি ছাত্রদের হামলায় রামেক হাসপাতালে ৩৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটি বেশকিছু সুপারিশ করেছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম শাহরিয়ারের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত করা। পাশাপাশি হামলায় জড়িতদের বিচার ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের নিরাপদ কর্মস্থানের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
আরও পড়ুন: হলের ছাদ থেকে পড়ে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
উল্লেখ্য, গত ১৯ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে রাবির হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন শিক্ষার্থী শাহরিয়ার। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
রামেক হাসপাতালের চিকিৎসকদের অবহেলায় সহপাঠী মারা গেছেন–এমন অভিযোগে হাসপাতাল ভাঙচুর করের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগে কর্মবিরতিতে যান ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
]]>