দাগনভূঞায় ব্রীজ যেন মরণফাঁদ – দৈনিক ফেনীর সময়
নিজস্ব প্রতিনিধি :
দাগনভূঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বৈঠারপাড় গ্রামে ভোলভোলা খালের ওপর নির্মিত ব্রীজের মাঝখানের অংশ ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন আশেপাশের এলাকার মানুষ। যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আমুভূঞারহাট মাদরাসা, চন্দ্রদ্বীপ হাই স্কুল ও বৈরাগীর বাজারে প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়া করতে হয় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী সহ পথচারীদের। কিন্তু দুই মাস আগে ভোলভোলা খালের উপর নির্মিত ব্রীজটির মাঝখান বরাবর একটি অংশ ভেঙ্গে মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। এ ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় বাজার থেকে বড় পরিবহন করে কোনো মালামাল আনা-নেওয়া সম্ভব হয় না। এমনকি বাজারের পাশেই রয়েছে একটি প্রাথমিক মাদরাসা ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এ ব্রীজ দিয়েই চন্দ্রদ্বীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আমুভূঞার হাট মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে এতে। কোনও দুর্ঘটনার আগেই ব্রীজটি মেরামতের দাবী জানান এলাকাবাসীরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১৯৮৩-৮৪ সালে ভোলভোলা খালের উপর ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। ব্রীজের মাঝখানের একটি অংশ গত কয়েকমাস আগে ভেঙ্গে পড়ার কারনে স্কুল-মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ কয়েক গ্রামের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এছাড়া রাতের বেলায় ব্রীজটি পার হতে গিয়ে গর্তে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
এ বিষয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মতিউর রহমান বলেন, কয়েকমাস ধরে ব্রীজের মাঝখানের একটি অংশ ভেঙ্গে পড়ে আছে। মানুষের যাতায়াতে কষ্ট হচ্ছে। স্কুল-মাদরাসার ছোট ছোট শিশুদের জন্য ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ব্রীজটি দ্রæত মেরামত করা প্রয়োজন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো: ফুয়াদ জানান, ব্রীজের মাঝখানের গর্তের কারনে মালবাহী গাড়ি অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে আসতে হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ রায়হান জানান, ব্রীজটি মেরামত করে যাতায়াতকারীদের অসুবিধা দূর করতে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হবে।