বাংলাদেশ

কথাসাহিত্যিক আনিসুল হককে হেয় করে প্রশ্নপত্র তৈরি করা শিক্ষক চিহ্নিত

<![CDATA[

২০২২ শিক্ষাবর্ষের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন বাংলা ২য় পত্রের প্রশ্নের একটি উদ্দীপকে সাহিত্যিক আনিসুল হককে হেয় করে প্রশ্ন প্রণয়নকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি হলেন ময়মনসিংহের মহাকালী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. সাখাওয়াত হোসেন। সোমবার (১৪ নভেম্বর) কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী আকবর এ কথা জানান।

গত ৬ নভেম্বর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আনিসুল হককে নিয়ে বিতর্কিত প্রশ্ন করা হলে সারা দেশে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলে নানা আলোচনা।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান, বিতর্কিত ওই প্রশ্ন প্রণয়ন করেছেন ময়মনসিংহের মহাকালী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. সাখাওয়াত হোসেন। অপরদিকে মডারেশন বোর্ডের সভাপতি হিসেবে প্রশ্নটি পরিশোধন করেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পারভীন আক্তার। এ ছাড়া ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক শিউলী বেগম মডারেশন বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এর আগে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন: কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক খালেদ হোসেন এবং উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ডিপ্লোমা) মোহাম্মদ শাহিন কাওসার সরকার।

আরও পড়ুন: এবার কথাসাহিত্যিক আনিসুল হককে হেয় করে এইচএসসির প্রশ্ন

উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা-২ সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে লেখা হয়, ‘প্রখ্যাত সাহিত্যিক আনিসুল হক লেখালেখি করে সুনাম অর্জন করতে চান। একুশের বইমেলায় তাড়াহুড়ো করে তিনি বই প্রকাশ করেন। পাঠকদের কাছে তার লেখা খাপছাড়া মনে হয়। ফলে পাঠকদের কাছে তিনি সমাদৃত হন না।’

সেই অনুচ্ছেদের নিচে ৫টি প্রশ্ন করা হয়েছে: (ক) ‘যশ’ শব্দের অর্থ কী? (খ) ‘লেখা ভালো হইলে সুনাম আপনি আসিবে।’ উক্তিটি ব্যাখ্যা কর। (গ) আনিসুল হক কোন কারণে ব্যর্থ, তা ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার আলোকে ব্যাখ্যা কর। (ঘ) সাহিত্যের উন্নতিকল্পে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনায় লেখকের পরামর্শ বিশ্লেষণ কর।’

এ ছাড়াও একই প্রশ্নপত্রে একজন নারীকে অবজ্ঞা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!