প্রেমের বিরোধে রাহুলকে হত্যা, সন্দেহের তীর বন্ধুদের দিকে
<![CDATA[
প্রেম নিয়ে বিরোধে জেরেই পরিকল্পিতভাবে রুহুল আমিন রাহুলকে (১৮) হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ রাখা হয় রেললাইনের পাশে। এ ঘটনায় যাবতীয় সন্দেহ তৈরি হয়েছে নিহতের বন্ধুদের ঘিরে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) সকালে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় মণ্ডলপাড়া এলাকার রেললাইনের পাশে ওই ছত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই ছাত্রের মাথা ও মুখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম ও হাতের রগ কাটা অবস্থায় ছিল।
এদিকে হত্যার ঘটনায় রাতে ছেলেকে হারিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন মা। আর বাবার আর্তনাদে ভারী হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ।
জানা যায়, নাটোরে হত্যার পর রেললাইনের পাশে ফেলে রাখা হয় এসএসসি পরীক্ষার্থী রুহুল আমিন রাহুলের মরদেহ। অভিযোগের তীর বন্ধুদের দিকে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত রাহুলের মামা ইমান আলী বলেন, নাটোর সদরের আমহাটি এলাকার নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল রাহুলের। তার সঙ্গে রোববার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে দেখা করতে গেলে বন্ধুরা রাহুলকে আটকে রাখেন। এরপর ৫ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনেন বাবা। ওইদিন রাতেই পাশের গ্রাম চরলক্ষ্মীপুরে নানীর বাড়িতে থাকা অবস্থায় বন্ধুরা আবারও তাকে ডেকে নেয়। এরপরই নিখোঁজ হয় ছেলেটি।
আরও পড়ুন: রেললাইনের পাশে মিলল এসএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ
তিনি বলেন, সোমবার সকালে রাহুলের মরদেহ মণ্ডলপাড়ায় রেললাইনের পাশে দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্বজনরা। তারা দাবি করেন, প্রেম নিয়ে বিরোধরে জেরেই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
জিআরপি থানার এসআই নরেশ চন্দ্র জানান, মরদেহ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যা বলে মনে হচ্ছে।
তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আর কিছু বলতে রাজি হয়নি রেলওয়ে পুলিশ।
নিহত রাহুলের বাবা বেলাল হোসেনের অভিযোগ, বন্ধুদের সঙ্গে ছেলের বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
]]>




