টুইটার অফিস সাময়িক বন্ধ
<![CDATA[
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের সংকট নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। শত শত কর্মী কোম্পানির পরিচালক ইলন মাস্কের আলটিমেটাম মেনে কাজ চালিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এর ফলে বড় ধরনের চাপের মুখে পড়েছে টুইটার। কর্মীদের গণ-ইস্তফার জেরে কোম্পানির সব অফিস সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ইলন মাস্ক টুইটার কেনার পরই কর্মী ছাঁটাই শুরু করেন। কোম্পানির প্রধান নির্বাহীসহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছেন তিনি। টুইটারকে নতুনরূপে নিয়ে আসতে চাইছেন মাস্ক। সে কারণে পুরোনো কর্মীদের ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
ইলনের এমন সিদ্ধান্তে আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন কর্মীরা। সবশেষ বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) টুইটার কর্মীদের দীর্ঘসময় কাজ করতে বলেন ইলন। তা না হলে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশও দেন তিনি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্মীদের টিকে থাকতে হলে দীর্ঘসময় কাজ করতে হবে বলে একটি ই-মেইল পাঠান মাস্ক। ই-মেইলে একটি লিংক যুক্ত করা ছিল। লিংকের ‘ইয়েস’ বাটনে তাদেরই ক্লিক করতে বলা হয়েছে যারা ‘নতুন’ টুইটারের নিয়ম মেনে থাকতে চান।
আরও পড়ুন: টুইটার কর্মীদের বিনা মূল্যে খাবার বাতিল করছেন ইলন মাস্ক
‘ইয়েস’ বাটনে ক্লিক করলে কর্মীরা একটি অনলাইন ফরমে প্রবেশ করছেন। যারা স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে উত্তর জানাবে না, তাদের তিন মাসের চাকরিকালীন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে অব্যাহতি দেয়া হবে বলে জানান মাস্ক।
ইলনের এই আলটিমেটামের পর শত শত কর্মী চাকরি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সিএনবিসি জানিয়েছে, ওই ই-মেইল পাওয়ার পর বৃহস্পতিবারই শত শত কর্মী পদত্যাগপত্র পাঠানো শুরু করেন। বিদায়ী বার্তায় টুইটারে স্যালুট ইমোজি আর নানা হ্যাশট্যাগ দিয়ে সয়লাব হয়ে যায় কোম্পানির ইন্টারনাল চ্যাট গ্রুপগুলো।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, পদত্যাগী কর্মীদের দলে বিপুল সংখ্যক প্রকৌশলীও আছেন। সে কারণেই চার দিনের জন্য টুইটারের সব অফিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অফিস আবার খুলবে আগামী সোমবার (২১ নভেম্বর)। বিবিসির প্রতিবেদনমতে, অফিস বন্ধ রাখার কোনো কারণ কর্মীদের পাঠানো ওই বার্তায় বলা হয়নি।
আরও পড়ুন: বেশি সময় কাজ করুন, নইলে চলে যান: ইলন মাস্ক
কর্মীদের পাঠানো বার্তায় টুইটার কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গণমাধ্যম বা অন্য কোথাও কোম্পানির গোপনীয় তথ্য নিয়ে আলোচনা করা থেকে বিরত থাকুন এবং কোম্পানির নিয়ম মেনে চলুন।’ এসব বিষয়ে কথা বলতে সংবাদমাধ্যমগুলো টুইটার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে টেসলা প্রধান ইলন টুইটার নিয়ে গত কয়েক ঘণ্টায় কয়েকটি টুইট করেছেন। তাতে ইঙ্গিতপূর্ণ ভাষায় কোম্পানির লোক কমিয়ে লাভ বাড়ানোর চেষ্টার যৌক্তিকতা বোঝাতে চেয়েছেন তিনি।
]]>