নওগাঁ সদর হাসপাতালে মেঝেতেও জায়গা নেই
<![CDATA[
নওগাঁয় বেড়েছে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব। জ্বর, সর্দি ডায়রিয়া নিউমোনিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। গত তিন দিনে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার চার গুণ বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন। হঠাৎ বাড়তি রোগী সামাল দিতে হাসপাতালের মেঝেতে চলছে চিকিৎসা।
চলতি সপ্তাহ থেকে নওগাঁর বরেন্দ্র জনপদে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। রাতে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ এর ঘরে নেমে এলেও দিনে আবার দ্রুত তাপ বাড়ছে। ছন্দপতন আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে জনজীবনেও। ১৭ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে ৭০ ও অন্যান্য বিভাগে ৩৪৫ রোগী ভর্তি রয়েছেন জেলার সদর হাসপাতালে। ধারণ ক্ষমতার অধিক রোগীর কারণে এক আসনে দুজন আবার অনেকে হাসপাতালের মেঝেতে নিচ্ছেন চিকিৎসা।
নওগাঁ সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, অন্তঃ ও বহির্বিভাগে প্রতিদিন দুই হাজারের বেশি রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন।
রোগীদের অভিযোগ, বাড়তি রোগীর চাপে মিলছে না সুচিকিৎসা।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক সংকটে ধুঁকছে পঞ্চগড় সদর হাসপাতাল
শহরের মাস্টারপাড়া এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে মেয়েকে নিয়ে এসেছেন শিউলী বেগম । তিনি বলেন, রাতে ভর্তি হয়ে জায়গা হয়েছে মেঝেতে। প্রচণ্ড ঠান্ডা আর নোংরা পরিবেশ খুব বাজে অবস্থার মধ্যে থাকতে হচ্ছে।
নওগাঁ সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আমিনা খাতুন বলেন, হঠাৎ রোগীর চাপ বাড়ায় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। প্রতিদিন ৭০ রোগীর জন্য শিশু ওয়ার্ডে দুই নার্স। যে কারণে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।
নওগাঁ সদর হাসপাতাল শিশু কনসালটেন্ট ডা. রতন কুমার সিংহ বলেন, এ আবহাওয়ায় শিশু ও বয়স্কদের খাবারে সতর্কতা ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
]]>




