পোশাক রফতানি আবারও দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ
<![CDATA[
বাংলাদেশ ২০২১ সালে বৈশ্বিক তৈরি পোশাক রফতানির বাজারে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। আগের বছর বাংলাদেশকে তৃতীয় অবস্থানে ঠেলে দিয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিল ভিয়েতনাম।
ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে (জানুয়ারি-আগস্ট-২০২২) জানানো হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানিতে সরবরাহকারী সকল শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে বাংলাদেশের।
উল্লেখিত সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ থেকে ১৫.৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে, যেখানে বিশ্ব থেকে তাদের মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ৬৭.১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট পোশাক আমদানিতে ২২.৮৯% নিয়ে বাংলাদেশ ইউরোপের পোশাক আমদানির দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। ২০২২ সালের প্রথম ৮ মাসে ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি ৪৫.২৬% বেড়েছে।
এদিকে চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানির প্রধান শীর্ষস্থানীয় উৎস এবং ২৮.০৬% শেয়ার নিয়ে চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬.৫৯%।
আরও পড়ুন : পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশকে টপকে গেল ভিয়েতনাম
২০২২ সালের জানুয়ারি-আগষ্টে চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি ১৮.৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌছেঁছে। একই সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানির তৃতীয় বৃহত্তম উৎস, তুরস্কের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০.৩৮%। তুরস্ক থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি বেড়েছে ১৬.৯৭%।
একই সময়ে, ইইউ ভারত থেকে ৩.৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। ভারত থেকে ইইউ এর আমদানি আগের বছরের তুলনায় ২৮.৮৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।
উচ্চ প্রবৃদ্ধিসহ অন্যান্য শীর্ষ দেশগুলো হলো কম্বোডিয়া ৪২.২১%, পাকিস্তান ৩১.৩৪% এবং ইন্দোনেশিয়া ৩৫.৪১%।
]]>