স্ত্রীকে হত্যার ৪০ বছর পর স্বামীর কারাদণ্ড
<![CDATA[
স্ত্রীকে হত্যার ৪০ বছর পর অস্ট্রেলিয়ায় এক ব্যক্তিকে ২৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ১৯৮২ সালে লিনেট ডসন নামে এক নারী নিখোঁজ হন। এখন পর্যন্ত ওই নারীর দেহাবশেষ পাওয়া না গেলেও শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার একটি আদালতের বিচারপতি ইয়ান হ্যারিসন লিনেটের স্বামী ৭৪ বছর বয়স্ক ক্রিস ডসনকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
চার দশক ধরে চলা এ মামলা ছিল অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে আলোচিত ঘটনার একটি। আদালত রায়ে বলেছেন, ক্রিস প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার জন্য তার স্ত্রীকে হত্যা করেছিলেন।
আদালত আরও বলেন, লিনেটের দেহ পাওয়া না গেলেও এ রায় দেয়ার ক্ষেত্রে সব প্রমাণ পাওয়া গেছে। ক্রিস ডসন ১৮ বছর পর প্যারোলে মুক্তি পাবেন। এ সময় তিনি বেঁচে না-ও থাকতে পারেন বলেও মন্তব্য করেন আদালত।
এদিকে ক্রিসের আইনজীবী জানিয়েছেন, তার মক্কেল রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, চার দশক পর ২০১৮ সালে ক্রিস ডসনকে তার স্ত্রী হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। লিনেট ডসন সিডনিতে তার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। তার তার বয়স ছিল ৩৩ বছর। তবে ক্রিস ডসন বরাবরই স্ত্রীর অন্তর্ধানের সঙ্গে তার জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: অ্যাসাঞ্জের মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর
গত আগস্টে শুনানি চলাকালে বিচারপতি হ্যারিসন জানান, তদন্তে পাওয়া গেছে ডসন একটি কিশোরীর প্রেমে পড়েছিলেন। ডসন যে স্কুলে পড়াতেন সেখানে ওই মেয়েটি পড়াশোনা করত। ডসন চেয়েছিলেন লিনেটের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর ওই কিশোরীকে বিয়ে করবেন। কিন্তু সম্ভব না হওয়ায় তার স্ত্রীকে হত্যা করেন। রায় ঘোষণার আগে ডসনের মেয়ে শ্যানল মায়ের মরদেহের অবস্থান প্রকাশের জন্য তার বাবাকে অনুরোধ জানান।
এদিকে ক্রিস ডসন এখন তার স্ত্রীর মরদেহের সন্ধান দেবেন কি না–এমন প্রশ্নের জবাবে তার আইনজীবী জানান, তার মক্কেল এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। সে ক্ষেত্রে মরদেহের খোঁজ দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথওয়েলস রাজ্য অক্টোবরে এক আইন পাস করেছে। তাতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর যদি আদালতের কাজে সহযোগিতা না করেন এবং হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তির মরদেহের খোঁজ না দেন, তবে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হবে না।
]]>