অভিসংশনের হুমকির মুখে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট
<![CDATA[
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা সম্ভাব্য অভিসংশনের হুমকির মুখে পড়েছেন।
একটি ‘ফার্মগেট’ কেলেঙ্কারির কারণে তিনি অভিসংশনের মুখোমুখি হতে পারেন বলে শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সিরিল রামাফোসার বিরুদ্ধে তার ফার্ম থেকে বিপুল পরিমাণ ডলার চুরির ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া চোরদের অপহরণ এবং তাদের মুখ বন্ধ করতে ঘুষ দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যদিও রামাফোসা তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রামাফোসা তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং সম্ভবত দুর্নীতিবিরোধী আইনও ভঙ্গ করেছেন। একটি স্বাধীন সংসদীয় তদন্ত প্যানেলের তিন খণ্ডের প্রতিবেদনে এমনটিই বলা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার রামাফোসার দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের (এএনসি) কার্যনির্বাহী কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে ফলপ্রসূ কোনো আলোচনা ছাড়াই বৈঠক স্থগিত করা হয়।
এএনসির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব পল মাশাতেল বলেন, প্রেসিডেন্ট বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। ফলে তার পদত্যাগ করা বা না করার বিষয়টি নিয়ে কোনো চূড়ান্ত আলোচনা হয়নি। শনিবার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সাক্ষাত করার কথা রয়েছে বলে মাশাতেল জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রিন্সেস ডায়ানাকে তালাক: কিং চার্লসের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি
কি ছিল প্রতিবেদনে?
প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার বিরুদ্ধে ফার্মগেট কেলেঙ্কারির সূত্রপাত গত জুন মাসে। ওই সময় আর্থার ফ্রেজার নামের একজন সাবেক শীর্ষ গুপ্তচর প্রেসিডেন্ট রামাফোসার বিরুদ্ধে চুরি ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে তিনি বলেন, রামাফোসা ২০২০ সালে ‘ফালা ফালা ফার্ম’ থেকে ৪০ লাখ ডলার চুরির বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছেন।
ফ্রেজার দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। অভিযোগে ফ্রেজার আরও বলেন, রামাফোসা অর্থ পাচার ও দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা কামিয়েছেন। তিনি চোরদের ঘুষও দিয়েছেন।
এত বড় অঙ্কের অর্থ ডলারে রূপান্তর করে রাখা বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের লঙ্ঘন বলেও অভিযোগ করেছেন আর্থার ফ্রেজার।
]]>




