খেলা

খাগড়াছড়িতে ছাদ ধসে মৃত্যুর দুই মাস পর মামলা

<![CDATA[

খাগড়াছড়ি পাবর্ত্য জেলা পরিষদ ভবনের ছাদ ধসে দুই শ্রমিক মারা যাওয়ার ঘটনার দুই মাস পর মামলা হয়েছে। মামলায় উপ-ঠিকাদার প্রাণতোষ প্রকাশ প্রানন্ত বাবুকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উপ-ঠিকাদার মো. সেলিম, পাবর্ত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা ও জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা।

ঘটনার প্রায় দুই মাস পর ভুক্তভোগী জালাল খান মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ২টার সময় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলী) আদালতে পিটিশন দায়ের করলে বিচারক মো. ফরিদুল আলম পিটিশনটিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পরিদর্শক মো. জাহঙ্গীর আলম।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বেদারুল ইসলাম জানান, ‘আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অবহেলা করে হত্যাকাণ্ড সংগঠনসহ নিহত ও আহত শ্রমিকদের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে ফৌজদারী অপরাধ করেছে। তাদের শাস্তির দাবি করে জালাল খান অভিযোগ দায়ের করেছেন। আদালত ফৌজদারি কাযবিধির ১৫৬(৩) ধারা মতে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে দায়ের করার নির্দেশ দেন।’

আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ ভবনের ছাদ ধস, তদন্তে কমিটি

প্রসঙ্গত, ৮ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক পৌনে চারটার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের পুরাতন ভবনের সামনে নতুন করে ছাদের একটি অংশ ধসে পড়লে দুই শ্রমিক নিহত ও পাঁচজন গুরুতর আহত হয়। নিহত শ্রমিকরা হলেন- মো. সাজ্জাদ হোসেন (২২) ও সাইফুল ইসলাম (২২)।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- মো. রোকন (৩৮), হানিফ মিয়া (২৫), মো. সোহেল (২০), মো. হাসান (২৪) ও হানিফ (২০)।

পরে জেলা পরিষদ গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির সাত কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও দুই মাসে তা দিতে পারেনি।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!