যে আনারসের দাম ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা
<![CDATA[
রসালো ফল আনারস ভিটামিন সির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ভিটামিন সি ছাড়াও প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ম্যাঙ্গানিজ ও পটাশিয়ামের মতো খনিজ সমৃদ্ধ ফলটি। স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী, বিশেষ করে শীতের সময়। আমাদের দেশে ফলটি খুবই স্বল্প মূল্যে পাওয়া যায়। মাত্র ৫০-৬০ টাকা দিলেই মেলে সবচেয়ে ভালো আনারসটি।
তবে পৃথিবীতে এমন আনারসও আছে যেগুলোর দাম আমাদের দেশের আনারসের চেয়ে কয়েক হাজার গুণ বেশি। তেমনই একটি আনারস হেলিগান আনারস। যার নামকরণ হয়েছে যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ডের কর্নওয়ালের একটি বাগানের নামে।
এ আনারসের একেকটির দাম ১ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার সমান। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আনারসটি উৎপাদনে অনেক সময় ও শ্রম দিতে হয়। আর সে কারণেই এগুলোর দাম এত বেশি। এ আনারস খাওয়ার উপযোগী হতে ২-৩ বছর সময় লাগে।
আরও পড়ুন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ভয়ংকর যুদ্ধবিমান আনছে তিন দেশ
যুক্তরাজ্যে হেলিগান আনারস উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত এমন একটি প্রতিষ্ঠান ‘দ্য লস্ট গার্ডেন্স অব হ্যালিগান’। সংস্থাটির ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, হেলিগান আনারসের আদি নিবাস ইংল্যান্ড নয়। আনারসের জাতটি যুক্তরাজ্যে প্রথম আনা হয় ১৮১৯ সালে। কিন্তু ফলটি উৎপাদনে যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া উপযুক্ত না। কারণ ঠান্ডা আবহাওয়ায় আনারস বেড়ে ওঠে না।
ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, এজন্য একটি বিশেষ ব্যবস্থা উদ্ভাবন করেন উদ্যানতত্ত্ববিদরা। সেই বিশেষ ব্যবস্থায় কাঠের তৈরি পাত্র তৈরি করা হয়। আনারস বেড়ে ওঠতে সেটির ভেতর দেয়া হয় পচনশীল সার এবং হিটার। ওই হিটার পাত্রের ভেতরের তাপমাত্রা উষ্ণ রাখে।
‘দ্য লস্ট গার্ডেন্স অব হ্যালিগান’র এক মুখপাত্র বলেন, ‘(যুক্তরাজ্যে) আনারস উৎপাদন অনেক শ্রমসাধ্য একটি কাজ। এর পেছনে যে সময় দিতে হয়, সারের মূল্য, পরিবহণ খরচ এবং অন্যান্য বিষয়সহ আমাদের একটি আনারস উৎপাদনে ১ হাজার পাউন্ডেরও বেশি খরচ হয়।’
আরও পড়ুন: মেগান ইস্যুতে রাজপরিবার নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য হ্যারির
ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে, তাদের বাগানে উৎপাদিত দ্বিতীয় আনারসটি ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে উপহার দেয়া হয়েছিল। আনারস উৎপাদনে প্রায় ২০০ বছর আগের উপায়ই অবলম্বন করেন তারা। এসব আনারস অবশ্য সাধারণভাবে বিক্রি করা হয় না। এর বদলে এগুলো নিলামে তোলা হয়। সেখানে একেকটি আনারস প্রায় ১০ লাখ টাকায়ও বিক্রি হয়।
]]>