থাইল্যান্ডে পর্যটকের ঢল
<![CDATA[
অবশেষে খরা কাটিয়ে চাঙা হয়ে উঠেছে থাইল্যান্ডের পর্যটনখাত। করোনার প্রকোপ কমে আসায় আবারও আগের মতো পর্যটকে মুখরিত থাইল্যান্ডের শহরগুলো।
চলতি বছর থাইল্যান্ড ভ্রমণ করা পর্যটকের সংখ্যা ১ কোটি, যা এরই মধ্যে দেশটির বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে।
লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার আনন্দ উদ্যাপনে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দেশটির বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে আয়োজন করা হয় রকমারি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নতুন যেসব পর্যটক এসে থাইল্যান্ডে নেমেছেন, তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় উপহার।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা পর্যটকদের উদ্দেশে এক বক্তৃতায় বলেন, ‘এতদিন আকাশে যে মেঘ জমে ছিল তা দূর হলো। মেঘ কেটে এখন সূর্যের আলোকচ্ছটা এসে পড়েছে আমাদের স্বপ্নভূমিতে। করোনার প্রকোপ কমে আসায় আমাদের আকাশপথ ও স্থলভাগ দুটিই খুলে দেয়া হয়েছে। আমরা আর পেছনে ফিরে তাকাব না। বিশ্বকে দেখাতে চাই, থাইল্যান্ডই হলো পর্যটকদের প্রথম পছন্দ।’
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বড় বিনিয়োগের পথে ভারত
যেখানে ২০২১ সালে থাইল্যান্ডে পর্যটকের সংখ্যা ছিল মাত্র ৫০ লাখ, সেখানে চলতি বছর পর্যটক সংখ্যার এমন উল্লম্ফনে খুশি দেশটির সরকার থেকে শুরু করে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। দেশটির পর্যটন কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যমতে, চলতি বছর থাইল্যান্ড কেবল পর্যটনখাত থেকেই আয় করেছে ৫০০ বিলিয়ন বাথ (থাইল্যান্ডের মুদ্রা)।
থাইল্যান্ডের অর্থনীতির ১২ শতাংশই পর্যটননির্ভর, যা দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয়। মূলত চলতি বছরের নভেম্বর থেকে থাইল্যান্ডে পর্যটকের ঢল নামতে শুরু করে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৩ সালে পর্যটক সংখ্যা বেড়ে ২ কোটিতে দাঁড়াবে এবং আয় বেড়ে হবে ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন বাথ।
করোনা-পূর্ববর্তী সময়ে প্রতিবছর ৪ কোটির মতো পর্যটক থাইল্যান্ডে আসত। ২০১৯ সালে ও তার আগের সময়গুলোতে দেশটির ৮০ শতাংশ রাজস্ব আসত পর্যটনখাত থেকে। চীনের লকডাউন উঠে গিয়ে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হলে থাইল্যান্ডে আগের মতো পর্যটক আসতে শুরু করবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
সূত্র: ব্লুমবার্গ
]]>




