ভারতে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাত হানার বছর পূর্তিতে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ‘যশ’। দেশটির পূর্ব উপকূলে বঙ্গোপসাগরে নতুন করে সৃষ্ট বড় ধরনের এই ঝড়ের বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২০ মে) সতর্ক করা হয়েছে। খবর এএফপি ও জি নিউজ।
ঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যার উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এদিকে দেশটির পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানা প্রবল ঘূর্ণিঝড় তাউতের তাণ্ডবে মুম্বাই শহরের উপকূলে ডুবে যাওয়া বার্জের ৩৮ কর্মীর সন্ধান চার দিনেও মেলেনি। নৌবাহিনী ও উদ্ধারকারী সংস্থা তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান সংস্থার (ওএনজিসি) এই কর্মীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
তাউতের আঘাতে এখন পর্যন্ত ১১০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় সাগরের পানি উষ্ণ হচ্ছে। এর ফলে এ অঞ্চলে ঘন ঘন ও তীব্র ধরনের ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ভারতের আবহাওয়া বিভাগ বলছে, পূর্ব উপকূলে বঙ্গোপসাগরে শনিবার নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে। এটি ধীরে ধীরে ঘনীভূত হয়ে ঝড়ে রূপ নিয়ে বুধবার (২৬ মে) পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যার রাজ্যের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।
আগামী মঙ্গলবার (২৫ মে) সন্ধ্যা থেকেই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, আসাম ও মেঘালয়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে।
‘যশ’ যে আম্পানের মতো আকার নেবে না; সেই ধারণা একেবারে উড়িয়ে দিতে পারছেন না ভারতীয় আবহাওয়া কর্মকর্তারা।
উড়িষ্যা সরকারও ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু করেছে। ঝড় এলে মানুষকে কোথায় সরানো হবে, ত্রাণশিবির কোথায় খোলা হবে- সে সম্পর্কে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঝড়ে উত্তাল তো বটেই, ভয়াবহ রূপ নিতে পারে সমুদ্র। ইতোমধ্যেই মৎস্যজীবীদের সোমবার (২৪ মে) থেকে বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া অফিস।