আইডিয়া প্রকল্প ও মাইক্রোসফটের এলওআই স্বাক্ষর
<![CDATA[
ডিপ টেকনোলজি স্টার্টআপদের সহায়তায় এবং দেশীয় উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (আইডিয়া) প্রকল্পের সঙ্গে লেটার অব ইন্টেন্ট (এলওআই) স্বাক্ষর করেছে মাইক্রোসফট।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে আইডিয়া প্রকল্প কার্যালয়ে উক্ত এলওআই এ আইডিয়া প্রকল্পের পক্ষে আইডিয়ার প্রকল্প পরিচালক যুগ্মসচিব মো. আলতাফ হোসেন এবং মাইক্রোসফটের পক্ষে মাইক্রোসফটের বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইউসুপ ফারুক স্বাক্ষর করেন।
এসময় আইডিয়া প্রকল্পের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক সিদ্ধার্থ গোস্বামীসহ দুই প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
‘মাইক্রোসফট ফর স্টার্টআপ ফাউন্ডারস হাব’ প্রোগ্রামের সুবিধা নেয়ার সুযোগ প্রদান করে স্থানীয় স্টার্টআপগুলোকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মাইক্রোসফট। ‘ভিজ্যুয়াল স্টুডিও’, ‘গিটহাব’, এম৩৬৫, ‘পাওয়ার প্ল্যাটফর্ম’ ও ‘ডায়নামিক ৩৬৫’-সহ মাইক্রোসফটের বিভিন্ন টুলস এবং প্ল্যাটফর্মের সকল সুবিধা প্রদান করবে এ প্ল্যাটফর্ম। স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের লক্ষ্য অর্জনে এবং তাদের আইডিয়া বাস্তবায়নেও সক্ষম করে তুলতে ভূমিকা রাখবে এ প্ল্যাটফর্ম।
আরও পড়ুন: গিগাবাইটের জেড ৭৯০ সিরিজের মাদারবোর্ড বাজারে
যোগ্য স্টার্টআপগুলো ওয়ান টু ওয়ান টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি সেশন এবং ২৪/৭ প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ দিক-নির্দেশনাগত সুবিধা পাবেন। যা তাদের সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে এবং মাইক্রোসফট মেন্টর নেটওয়ার্ক থেকে তারা বিশেষায়িত মেন্টরশিপের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়াও, টেইলর্ড লার্নিং পাথস, কন্টেন্ট এবং ইভেন্টের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা তাদের স্টার্টআপ যাত্রার পরবর্তী ধাপে উন্নীত হওয়ার সুযোগ লাভ করবেন।
অনুষ্ঠানে আইডিয়ার প্রকল্প পরিচালক যুগ্মসচিব মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে, বাংলাদেশে প্রায় ২৫শ’ স্টার্টআপ এবং ইম্প্যাক্ট এন্টারপ্রাইজ রয়েছে। প্রতি বছর এই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে ২শ’রও বেশি স্টার্টআপ। এক্ষেত্রে, এ অংশীদারিত্ব বাংলাদেশি স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করে তোলার ক্ষেত্রে একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। আমাদের দেশের স্টার্টআপগুলোকে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি এবং টুল দিয়ে সহায়তা করে দেশীয় উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করছে মাইক্রোসফট। মাইক্রোসফটের মতো বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত অংশীদারের সমর্থন পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’
দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমর মাধ্যমে ১৫ লাখেরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা দেশের জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। স্টার্টআপগুলোর বিভিন্ন সল্যুশনের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে সাড়ে ৭ লাখেরও বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ। এতে করে, দেশব্যাপী উদ্যোক্তারা ব্যবসা করার ক্ষেত্রে নানান সুবিধা উপভোগ করতে পারছেন।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
মাইক্রোসফটের বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইউসুপ ফারুক বলেন, বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের ‘সেন্ট্রাল হাব’ আইডিয়া’র সাথে কাজ করতে আমরা অত্যন্ত আগ্রহী। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা উদ্যোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গতানুগতিক বাধাগুলো দূর করে উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন এবং তাদের সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে উদ্ভাবন ও প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করতে চাই।
‘মাইক্রোসফট ফর স্টার্টআপ ফাউন্ডারস হাব’ প্ল্যাটফর্মটি সব উদ্যোগের জন্য বিশেষায়িত প্ল্যাটফর্ম। এ প্ল্যাটফর্ম পারসোনালাইজড টেকনিক্যাল টুল ও বিজনেস রিসোর্সের মাধ্যমে স্টার্টআপ উদ্যোগগুলোকে নতুন সব মাইলফলক অর্জনে ভূমিকা রাখবে। যেকোনো সময় উদ্যোক্তারা এ প্ল্যাটফর্ম ব্যাবহার করতে পারবেন এবং বিনামূল্যেই তাদের পরিকল্পনাগুলোকে বাস্তবে রূপান্তর করতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সুবিধা পাবেন।
]]>