তেঁতুলিয়ায় সার-ভুট্টা বীজ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
<![CDATA[
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় সাধারণ কৃষকদের মাঝে সরকারি সার ও ভুট্টার বীজ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে দুই কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন বরাবর মৌখিক অভিযোগ করেছেন আশরাফুল ইসলাম নামে এক ইউপি চেয়ারম্যান।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে অনিয়ম নিয়ে অভিযোগের বিষয়টি সময় সংবাদকে জানান উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের এই চেয়ারম্যান।
অভিযুক্তরা হলেন: তেঁতুলিয়া কৃষি অফিসের উপসহকারী ওমর ফারুক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।
ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল সময় সংবাদকে বলেন, ‘শালবাহান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগ থেকে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে আসছি, যা এখনও অব্যাহত। কয়েক দিন আগে উপজেলা থেকে আমার ইউনিয়নের ৫০ জন গরিব ও নিম্ন আয়ের সাধারণ কৃষকের জন্য সরকারিভাবে জনপ্রতি ৩০ কেজি সার ও ২ প্যাকেট ভুট্টার বীজ বিতরণের জন্য আমাকে অবহিত করা হয়। বৃহস্পতিবার কৃষি অফিসে গেলে তারা আগেই বিলি শেষ করেছেন বলে জানান। কিন্তু তারা কীভাবে ইউনিয়নের বরাদ্দের সার ও ভুট্টা বীজ বণ্টন করল বুঝে উঠতে পারছি না। পুরোপুরি অনিয়ম দেখছি।’
আরও পড়ুন: ফ্যামিলি কার্ড তৈরি-বিতরণে অনিয়ম খতিয়ে দেখছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের কাছে বণ্টনের কাগজ দেখতে চাইলে দেখাতে পারেননি। পরে রাত ৮টার দিকে একটি ভুয়া বণ্টনের কাগজ হাতে ধরিয়ে দেয়। পুরোপুরি অনিয়ম করে উপসহকারী ওমর ফারুক ও কৃষি কর্মকর্তা সার ও বীজ বিতরণ করেছেন। এর আগেও ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে। সার, গমসহ বিভিন্ন মালামাল বিতরণে ফারুকের সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয়েছে। সাধারণ কৃষকের হয়ে আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।’
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে উপসহকারী ওমর ফারুক সময় সংবাদকে বলেন, ‘দুপুরে চেয়ারম্যানকে ফোন দিয়েছিলাম। তার ফোন বন্ধ ছিল। তাই তার সঙ্গে যোগাযোগ না হওয়ায় শালবাহান ইউনিয়ন থেকে আসা কৃষকদের মাঝে আমরা অফিস থেকে সার ও বীজ বিতরণ করেছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা সময় সংবাদকে বলেন, সার ও ভুট্টার বিষয়টি মৌখিকভাবে শালবাহান ইউপি চেয়ারম্যান অবহিত করেছেন।
]]>